নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সারাদেশে কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অথবা পরদিন বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচির ঘোষণা দেবে দলটি।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্কাইপিতে যুক্ত ছিলেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় তারেক রহমান খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখতে দলের সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ দেন। আর দল থেকে নির্বাচিত ছয় সংসদ সদস্যদের শপথ না নেওয়ার আগের সিদ্ধান্তে বিএনপি এখন অনড় রয়েছে বলে তারেক রহমানকে জানান দলের নেতারা।
বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, নুসরাত জাহান রাফির হত্যাসহ সারাদেশে নারী নির্যাতনের বেড়ে যাওয়া সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এসবের প্রতিবাদে কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপি থেকে নির্বাচিত ৬ জন সংসদ সদস্যের শপথ নিতে আগ্রহের বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার সত্যতা জানতে চান তারেক রহমান। তিনি এ ব্যাপারে দলের সিনিয়র নেতাদের মতামতও জানতে চান। তখন স্থায়ী কমিটির নেতারা তারেক রহমানকে জানান, শপথ না নেওয়ার আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। গত ১৫ এপ্রিল রাতে বৈঠক করে নির্বাচিত ছয় সংসদ সদস্যকে শপথ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও জানিয়ে দেওয়া হবে।
বৈঠক উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘শুরুতে দলের নেতাদের কাছে মা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যের নিয়মতি খোঁজ নিতেও নেতাদের পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় মায়ের মুক্তির জন্য আইনি লড়াইকে আরও বেগবান করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিতে বলেন।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য জানান, ‘আগামী কয়েকদিনের মধ্য অন্য একটি হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হতে পারে।’
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খালেদ জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।'
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন— দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন