নিরুদ্দেশ হয়ে থাকা বিগ্রেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আজমী, ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাশেম (আরমান)সহ গুম হওয়া নেতাদের মুক্তি চায় বিএনপি।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে িবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী মুক্তি চান।
‘গুমঘর’ থেকে কেউ কেউ সৌভাগ্যক্রমে ফিরে আসলেও অনেকের স্ত্রী-সন্তান-মা-বাবা-স্বজনরা দিনরাত চোখের পানিতে বুক ভাসাচ্ছেন হারিয়ে যাওয়া তাদের প্রিয়জনদের জন্য। তারা কার কাছে বিচার চাইবে ? কার কাছে যাবে ?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রায় প্রতিটি সভা সমাবেশ পঁচাত্তরে মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের শিকার তাঁর পিতা-মাতা-ভাইদের জন্য কাঁদেন। তখন তাঁর কি একবারও মনে হয় না তাঁর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে গুম খুন হওয়া পরিবারের কান্নার কথা। এই গুম-খুন বন্ধ করুন।
গুম হওয়ার ১৫ মাস পর ফিরে এসেছেন সাবেক কূটনীতিক মারুফ জামান। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরু, হুমায়ন কবীর পারভেজ, সাজেদুল ইসলাম, মাহবুব হাসান, মাজহারুল ইসলাম, আদনান চৌধুরী, পারভেজ হোসেনসহ প্রায় হাজার খানেক মানুষকে।
এখনও নিরুদ্দেশ হয়ে আছেন বিগ্রেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আজমী, ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাশেম (আরমান)। এ সমস্ত গুম হওয়া মানুষের জন্য তাদের মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানরা কাঁদছেন। কিন্তু সরকার অনুভুতিশুণ্য, বোধহীন।
সরকার নিজে গুম-খুনের নির্দেশ দিয়ে দানবরুপে জনগণের ঘাড়ের কাছে নি:শ্বাস ফেলছে। দেশ বর্তমান ও অনাগত দিনের দু:শ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা, হতাশায় ভরে গেছে। সরকার বেআইনী পথে হাঁটছে বলেই এই শ্বাসরোধী পরিবেশ। কারণ বিরোধী দল ও মতের প্রতি সরকার ও সরকারপ্রধান এর ক্ষোভ-ঘৃনা ও ধ্বংস করার মানসিকতার জন্যই এখন ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। অদৃশ্য করা, আটক করে কাস্টডিতে হাত-পায়ের নখ তুলে ফেলা, পায়ে-হাতে গুলি করে পঙ্গু করার যে সংস্কৃতি তৈরী হয়েছে তাতে মানুষ এখন প্রাণখুলে হাসতে বা কাঁদতেও ভুলে গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন