আবারো সক্রিয় হওয়ার চেষ্টায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। গত দুইদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে দেয়ালে খেলাফত রাষ্ট্রের দাবিতে পোষ্টার লাগানো হয়েছে। পাশপাশি এ সংগঠনটির ওয়েবসাইটও সচল রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে বিদেশী অর্থায়নে বাংলাদেশে পরিচালিত একটি এনজিওর উত্তরা অফিসে হিযবুত তাহীরের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ প্রধান সমন্বয়কারী করে। ২০০৩ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোল টেবিল বৈঠকে বাংলাদেশে দলটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। একমাস পর মার্চ থেকেই দলটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। কাজের সুবিধার্থে দলটি রাজধানীতে ১৩টি গোপন আস্তানা গড়ে তোলে। দলটির আদি আস্তানা গড়ে তুলতে সহায়তা করে জামায়াতে ইসলামী অঙ্গ সংগঠন ছাত্র শিবির। শুরু হয় সদস্য সংগ্রহ ও দাওয়াতী কাজ। তবে বেশিদিন এগোতে পারেনি তারা। ২০০৯ সালের ২৪ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিযবুত তাহীরের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
এরপর শুরু হয় পুলিশি অভিযান। অভিযানে বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই, উগ্র ভাষায় লেখা লিফলেট, ট্রেনিং বেল্ট, বিভিন্ন দেশের জঙ্গী প্রশিক্ষণের ভিডিও ফুটেজসহ নানা ধরনের আলামত জব্দ করা হয়। একে একে হিযবুত তাহরীরের মুখপাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর শিক্ষক অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, দলটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলাসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ প্রায় ২শ’ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরও থেমে নেই সংগঠনটির কার্যক্রম। দিন দিন তারা আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, হিজবুতের কার্যক্রম নজরদারিতে রয়েছে। এরপর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মধ্যে পোষ্টার লাগানো ও লিফলেট বিতরণ চলছে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম দেখলেই পুলিশকে জানানোর আহবান জানান তারা।
আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন