যেকোনো মূল্যে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম।শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনের অনুমতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনার পর নতুন করে আর কোনো লাইসেন্স দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেয়র (সাঈদ খোকন) বলেছেন, যেকোনো মূল্যে সবাই মিলে এসব এলাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেয়া হবে।’
এতোদিন সরানো হয়নি কেন জানতে চাইলে এ প্রকৌশলী বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবার যেকোনো মূল্যে সেসব (কেমিক্যাল গোডাউন) সরিয়ে নেওয়া হবে।
ডিএসসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী বলেন, কয়েক দিন আগেও সিটি করপোরেশনের মেয়র এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেছেন তারা যাতে এই কেমিক্যালগুলো সরিয়ে নেন। এখানে কিন্তু কোনও কেমিক্যালের লাইসেন্স দেয়া হয়নি এবং কোনও লাইসেন্স রিনিউ করা হয়নি। এগুলোর জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন আগুন লেগেছে এবং কারা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী কমিটি সে বিষয়ে তদন্ত করবে।’
কমিটির আরেক সদস্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ভবন পরিদর্শনকালে দেখেছি ৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওয়াহিদ ম্যানশনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার কলাম এবং বিনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভবনটা ব্যবহার করা যাবে কিনা তা আগামী সাত দিনের মধ্যে বিস্তারিত বলা যাবে। এছাড়া অন্যান্য ভবনগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য যে শক্তি দরকার তা আছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘুরে দেখলাম ওয়াহিদ ম্যানশন একটি অনেক বড় বিল্ডিং এটি কমপক্ষে ১০ কাঠা জমির ওপর নির্মিত। এ ধরনের ভবনের মধ্যে মাত্র একটি সিঁড়ি, যা পর্যাপ্ত না। ভবনের দ্বিতীয় তলাটা পুরোটাই গুদাম ছিল। ওই ভবনে আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না।’
রাজউকের অথরাইজড অফিসার নুরুজ্জামান জাহিদ বলেন, ‘এই ভবনটি রাজউক অনুমোদিত কি-না আমরা ওভাবে এখনও তথ্য নিতে পারি নাই। ওদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাবে আসলে তারা অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করেছেন কিনা।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন