রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে কঙ্কাল ৬৭ প্রাণ। চকবাজারের ওই ঘটনায় পুড়েছে প্রায় দু-তিনটি ভবন, ৫-৭ দোকান। এছাড়াও আগুনের ভয়াবহ লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের সড়কেও। সবার মাঝেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
এঘটনায় বাড়তি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরাও। দলের প্রধান প্রায় এক বছরের অধিক সময় ধরে বন্দি রয়েছেন চকবাজারের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে এই কারাগারের পুকুর থেকেই পানি ব্যবহার করেন। পরিত্যক্ত এই কারাগারে একমাত্র বন্দি খালেদা জিয়া। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা জানার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা নানা মাধ্যমে তারা খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করেন।
শরীরটা ইদানীং ভালো যাচ্ছে না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। নানা শারীরিক জটিলতায় কাবু। দুটি মামলায় দণ্ডও হয়েছে। একাধিক মামলায় বিচার চলছে। এজন্য কারাগারের ভেতরেই স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ আদালত।
গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নাইকো মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি খালেদ জিয়া। দুপুরে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, ‘খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে আছে, তাই হাজির করা হয়নি।’ তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, ‘তিনি শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ, তাই তাকে হাজির করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।’
এদিন সন্ধ্যায় বিএনপির একটি আলোচনা সভায় দলটির একদল কর্মী দলীয় প্রধানের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি। দলের প্রধানকে নিয়ে তারা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা জানিয়ে সভায় হট্টগোলও করেন। বলেন, প্রয়োজনে কমিটি ভেঙে দেন। ওই দিন সকালে আদালতে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি অসুস্থ অবস্থায় হুইলচেয়ারে করে আদালতে এসেছেন। এখন গুরুতর অসুস্থ তাই আসতে পারছেন না।
চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খালেদা জিয়া কোনো ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন কি-না জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে একজন কারা কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন