রাজশাহীর গোদাগাড়িতে কর্মীদের তোপের মুখে সভা ছেড়ে পালিয়েছেন হামিদ রানা নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।
কর্মীদের অভিযোগ, গোদাগাড়ী পৌর ছাত্রলীগের এই সভাপতি বিবাহিত।
এ ঘটনা গোপন রেখেই তিনি কমিটিতে স্থান করে নেন। রোববার সন্ধ্যায় পৌর ছাত্রলীগের সভায় হামিদ রানাকে প্রত্যাখ্যান করেন কর্মীরা।
ঘটনার পর সোমবার সকালে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন।
তাতে লেখেন, ‘বিবাহিত ছাত্রলীগ সভাপতি হামিদ রানার চার বছরের এক ছেলে আছে। বিবাহিত সভাপতি আমাকে বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাধারণ কর্মীদের তীব্র বাধার মুখে তার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’
রুবেল হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাদের কমিটি গঠন করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগ করতে পারবেন না।
রুবেল আরও জানান, তাকে বহিষ্কারের উদ্দেশ্যে বহিরাগতদের নিয়ে বর্ধিত সভা ডাকেন হামিদ রানা। জানতে পেরে তিনিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে যান। বিবাহিত হওয়ার কারণে সেখানে উল্টো হামিদ রানাকেই পদত্যাগের দাবি ওঠে। তখন দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, গোদাগাড়ীর মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হামিদ রানার ওঠাবসা। এছাড়া তিনি থানায় তদবির বাণিজ্যে জড়িত। স্ত্রী-সন্তান বা অনৈতিক কাজে জড়িত থাকাসহ সব রকমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হামিদ রানা।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে না থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করছেন রুবেল।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, হামিদ রানার বিয়ের খবর তিনিও শুনেছেন। কিন্তু গোদাগাড়ী পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়েছে তিনি সভাপতি হওয়ারও আগে। উপজেলা নির্বাচনের পর সব উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন