নতুন নামে ও নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভাবের পথ খুঁজে বের করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা যায়, দলের নীতিমালায় পরিবর্তন এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধিতার জন্যে ক্ষমা চাওয়াকে ঘিরে দলের মধ্যে বিরোধের খবর প্রকাশিত হওয়ায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দলের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে অন্যান্য সদস্যরা হলেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, হামিদুর রহমান আজাদ, মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রমুখ।
জামায়াতকে ‘নতুন দল’ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি দলটিকে ‘দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য’ করে তোলার জন্যে সংবিধান ও অন্যান্য কৌশল নির্ধারণে কমিটির সদস্যরা কাজ করবেন বলে সূত্র জানায়।
তবে কমিটি কবে নাগাদ তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সে বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন নেতা বলেন, নতুন দল হিসেবে ঘোষণার পর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে, এর মাধ্যমে জামায়াতের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করা হবে না। দলটি তখন সামাজিক কাজে নিয়োজিত থাকবে।
জামায়াতের অপর নেতা বলেন, দলটি দেশের বাইরে বিশেষ করে মিশর, তুরস্ক এবং তিউনিসিয়ার ইসলামী দলগুলোর আন্দোলনের ধরন থেকে শিক্ষা নিবে।
এরই মধ্যে গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) ‘দল-বিরোধী কাজে’ সংশ্লিষ্টতার কারণে মজলিশে সূরার একজন সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বহিষ্কৃত সদস্য হলেন জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এছাড়াও, গতকাল জামায়াতকে ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে দিনাজপুরের এক নেতা দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
জামায়াতের ভেরভেরি ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক তার পদত্যাগপত্র জমা দেন খানসামা উপজেলা শাখার দলীয় আমিরের কাছে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দলটির সহকারী সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক সরে দাঁড়ানোর একদিন পর জামায়াতের ভেতর এই পরিবর্তনগুলো আসতে শুরু করে। দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করার কারণে জামায়াতের ক্ষমা না চাওয়ায় এবং এর সংবিধানে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যারিস্টার রাজ্জাক দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াত দখলদার পাকিস্তানের পক্ষ নেয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করে।
(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে নিচের ইংরেজি লিঙ্কে ক্লিক করুন)click here
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন