সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগপত্র দিয়েছে এলাকাবাসী।
গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেয়া সেই অভিযোগে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক থেকে কিভাবে খলিলুর রহমান সিরাজী কোটিপতি হলেন তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
তবে, খলিলুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘এগুলো তাকে হেয় করার জন্যই করা হয়েছে।’
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, খলিলুর রহমান সিরাজী সরকারি চাকরিতে থেকেও বিধিভঙ্গ করে দলীয় পদে ছিলেন। সরকারি কর্মচারী হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে পোলিং অফিসারের দায়িত্বও পালন করেছেন।
নদী ভাঙ্গনকবলিত এলাকার সন্তান খলিলুর রহমান উত্তরাধিকার সূত্রে তেমন কোনো সম্পদ পাননি। তার ভাইদের মধ্যে একজন চায়ের দোকানি, একজন কৃষি কাজ করেন, আরেকজন গার্মেন্টে চাকরি করেন।
খলিলুর রহমান গত ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলার চর আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার স্ত্রীও স্কুলশিক্ষক।
অভিযোগে জানা যায়, স্কুলশিক্ষক হয়েও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গত ১০ বছরে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন খলিলুর। সিরাজগঞ্জ শহরের দত্তবাড়ী এলাকায় নিজের ও স্ত্রীর নামে প্রায় সাড়ে ৫ শতক জমির ওপর পাঁচতলা ভবন গড়েছেন।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদিঘা মৌজায় ২০১৪ সালে নিজ নামে ১৯ শতক জমি কিনেছেন। ওই জমি কেনার সময় নিজের শিক্ষক পরিচয় লুকিয়ে পেশা উল্লেখ করেন ব্যবসা।
এ ছাড়া খলিলুর রহমান একটি টয়োটা করোলা (ঢাকা মেট্রো গ-১৯০৩০৪) গাড়ি ব্যবহার করেন। খলিলুর রহমানের সোনালী ব্যাংক কাজীপুর শাখায় ৫০ লাখ টাকার এফডিআর আছে, যার হিসাব নম্বর ৭৩৬৭৪। তা ছাড়া ঢাকার মিরপুরে, গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ও বগুড়া শহরের লতিফপুর এলাকায় তার ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে।
তবে, এ বিষয়ে খলিলুর রহমান সিরাজী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ শহরে বাড়ি ও বগুড়ার শাহজাহানপুরের ১৯ শতক জমির বাইরে উল্লেখিত কোনো সম্পত্তি আমার নেই। আমাকে হেয় করার জন্যই প্রতিপক্ষ এগুলো করছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন