গত বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, দ্রুত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে। এ বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা কি সবগুলো আসনেই মামলা করবেন? নাকি যেগুলোতে তাদের প্রার্থী জিতেছেন সেগুলো বাদ দিয়ে বাকি আসনে মামলা করবেন? নাকি তাদের কাছে যেসব আসনে ভোট কারচুপির তথ্য উপাত্ত রয়েছে সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে মামলা করবেন?
তিনি বলেন, ‘আমরা সবগুলো আসনেই মামলা করবো। এমনকি আমাদের প্রার্থীরা যেসব আসনে জিতেছেন সেসব আসনেও করবো। আমাদের প্রার্থীরা যেসব আসনে জিতেছেন সেখানে তারা আরও বিশাল ব্যবধানে জিততে পারতেন। কিন্তু কারচুপি সেসব আসনেও হয়েছে। সে কারণেই করবো। এ নির্বাচন যে প্রহসনের, কারচুপির সেটি সবাই জানেন। বেশি জানেন সরকার যারা গঠন করেছেন তারা। আগামী ২০ দিনের ভেতর এসব মামলাগুলো করা হবে। পাশাপাশি আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সংলাপে যাওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছি, অনতিবিলম্বে নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদান করা হোক। আমাদের কাছে ভোট কারচুপি প্রমাণের জন্য তথ্য উপাত্ত, ভিডিও ক্লিপিং যা যা দরকার সবকিছুই আছে। তথ্য উপাত্তের ভিত্তিইে আমরা কাজ করছি। আশা করি সরকার ও নির্বাচন কমিশন আমাদের এসব পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবেন। তারা (সরকার) গণতন্ত্রের কথা বলছেন অতএব আমরাও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ ও বর্জন করেছি এ নির্বাচনকে।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি বর্তমানে মিডিয়ায় কোনো কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। তবে বিএনপিপন্থী আইনজীবী মোছাব্বির আলী বলেন, ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলার প্রস্তুতি চলছে। কাজ শেষ পর্যায়ে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন