পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। আজ শুক্রবার আপিল শুনানীতে তিনজন ভোটার উপস্থিত করেন তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব বরাবর আপিল করেন তিনি। আপিল নম্বর-১৯৮/১৮। আপিলের পরে তার আইনজীবী নুরুজ্জামান বলেন, আমরা আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো। নির্বাচন কমিশন ড. মাসুদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দিবেন। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন বাতিলের জন্য রিটানিং কর্মকর্তা যে অভিযোগ উল্লেখ করেছেন তা সত্য নয়। মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে এক শতাংশ সমর্থক ভোটারের যে ১০ জন ভোটার যাচাই করেছেন। তাদের মধ্যে ২ জন বলেছে তারা কিছু জানেন না। একজনের ভোটার তালিকা নং মিল নেই।
আইনজীবী বলেন, যে দুজন জানেনা বলেছেন, তারা আমাকে জানিয়েছেন যে, আমাদের জমি জমা নিয়ে মামলা ও শত্রুপক্ষ রয়েছে। আমাদের একজন ফোন দেয় এবং কোন পরিচয় দেয়নি তারা, জিজ্ঞেস করে আপনি জামায়াতের কোন কাগজে সই করেছেন কিনা। আমরা না বলেছি কেননা আমরা তো জামায়াতের কোন কাগজে সই করেনি। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে সই করেছি।
আইনজীবী নুরুজ্জামান বলেন, আমরা সংশোধিত ভোটার তালিকার ৩৫৪ নং ভোটারের নাম উল্লেখ করেছি কিন্তু রিটানিং কর্মকর্তার ভোটার তালিকায় ৩৫৪ নং এর সাথে নাম মিল নেই।
উল্ল্যে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের ওপর দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি চলছে। গতকালের মতো আজ শুক্রবার সকালেও নির্বাচন ভবনের এজলাসে শুরু হয় শুনানি কার্যক্রম। এর আগে গত ২রা ডিসেম্বর সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে ৭৮৬ মনোয়নয়নপ্রত্যাশীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত তিনদিন নির্বাচন কমিশনের আপিল আবেদন করেন ৫৪৩ প্রার্থী। প্রথম দিন মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন ৮০ জন ও বাতিল করা হয় ৭৬ জনের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন