জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় শরীকদল বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী মাঠে নামতে না পারলেও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে রেখেছে। শরীক অন্যান্য দলের প্রার্থী তালিকা তৈরি হলেই নেতারা বসে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা করবেন। তারা এ বিষয়ে শিগগিরই আলোচনায় বসবেন বলে ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা জানিয়েছেন। তার আশাবাদ, আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। সূত্র জানায়, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ড. কামাল হোসেন কোথা থেকে নির্বাচন করবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, তিনি রমনা-মতিঝিল-পল্টন বা ধানমন্ডি আসনে প্রার্থী হতে পারেন।
আ স ম আবদুর রব তার নির্বাচনী এলাকা লক্ষীপুর -৪ আসন থেকেই লড়বেন। দীর্ঘদিন পরে এবার নির্বাচনী মাঠে দেখা যাবে এক সময়ের ডাকসাইটে নেতা, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টুকেও। লালবাগ বা কেরানীগঞ্জ থেকে নির্বাচন করবেন তিনি। তার মনোয়ন নিশ্চিত করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় বা আমানউল্লাহ আমান বাদ পড়বেন। ডাকুসর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে মৌলভীবাজার-২ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
জানা গেছে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন নির্বাচন না করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট জয়ী হলে তাদেরকে টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রী করার বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখন জোট সম্প্রসারণ, আন্দোলনের কৌশল ও কর্মসূচি প্রণয়নের ব্যাপারে কাজ করছে। সেই সাথে আছে নির্বাচনী প্রচার। এর অংশ হিসেবে আগামী ২১ তারিখ রাজধানীর মিরপুর ও ২৩ অক্টোবর সিলেটে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই জনসভার মধ্যদিয়েই শুরু হবে ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলন ও নির্বাচনী কার্যক্রম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন