প্রতিবন্ধী কোটার প্রয়োজন আছে। তবে সেই কোটা যথাযথ নিয়মে করতে হবে, যেন প্রতিবন্ধীরা সত্যি সত্যি চাকরি পান বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান। বলেছেন, তবে কোটায় চাকরি পেতে হলে প্রথমে শিক্ষিত হতে হবে। মাত্র চার শতাংশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার সুযোগ পায়, ৯৬ শতাংশই পায়না। তাদেরকেও শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। এর জন্য শুধু নীতিমালা করলেই হবেনা, অনেক বিনিয়োগ, শিক্ষক, বই-পুস্তক এবং অবকাঠামোর ব্যবস্থাও করতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর মহাখালি ব্র্যাক-ইন সেন্টারে যুব সম্মেলন’২০১৮ উপলক্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আকবর আলি খান বলেন, ‘সরকারি চাকরিতেই যে শুধু কোটার প্রয়োজন, তা নয়। বেসরকারি ক্ষেত্রেও যেনো চাকরি হয়, সেই ব্যবস্থাও সরকারকে নিতে হবে। কোটায় চাকরির ক্ষেত্রে কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শুধু চাকরিই নয়, জীবনের সর্বক্ষেত্রে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।’
‘সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রতিবন্ধীদের সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। করুণার মাধ্যমে তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা যাবেনা, স্বাভাবিক ধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেজন্য মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।’
প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে কোনো কোটা নেই। কিন্তু গত বছর আইএস পরীক্ষায় প্রায় ১৮ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১৮ জন নিয়োগ পান, যাদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন একজন নারী প্রতিবন্ধী। তিনি যথাযথ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন বলেই সর্বভারতীয় পরীক্ষায় প্রথম হতে পেরেছেন। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধীরাও সুযোগ পেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন। যেখানে কোটা নয়, পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করে তারা চাকরিতে আসতে পারবেন।’
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন