ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে যা বললেন যশোরের এমপি মনির
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনিরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যশোরের চৌগাছা উপজেলার এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন অনুষ্ঠানে ফুল হাতে এমপি মনিরকে বরণ করার ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিকে অনঅভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছেন ওই এমপি।
এ ব্যাপারে তার এপিএস হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক পত্রে দু:খ প্রকাশ করা হয়। পত্রটি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো-
সম্মানিত সূধী, আপনাদের সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের মালা পরিয়ে দেয়ার একটি ভিডিও নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
১১ অক্টোবর যশোরের চৌগাছায় অবস্থিত এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাতির শ্রেষ্ঠ ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান। তারা হলেন- জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবুল হোসেন, উপজেলা সাবেক কমান্ডার নূর হোসেন, সাবেক কমান্ডার শওকত আলী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কিতাব আলী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান কবীর।
জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানাতে দেশত্ববোধক গানের সঙ্গে বিনম্র শ্রদ্ধায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিরুপ আবহাওয়ার কারণে স্কুল মাঠের স্টেজে শিক্ষার্থীদের ওই ডিসপ্লেটি করা সম্ভব হয়নি।
একারণে প্রধান শিক্ষকের পীড়াপিড়িতে এক পর্যায়ে স্কুলের ক্লাসরুমের ভেতরে স্বল্প পরিসরে ডিসপ্লেটি করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
ডিসপ্লের সামনে জায়গা না থাকায় এবং অতিথিদের আসন ডিসপ্লের কাছে হওয়ায় ডিসপ্লেটি দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে ভিডিওতে।
উল্লেখ্য, একজন অতিথির পক্ষে কোন ভাবেই জানা সম্ভব নয়, যে স্টেজে কী পারফর্ম হবে। এই ভিডিওটি নিয়ে একটি মহল জাতীয় সংসদের একজন সদস্যের সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সঙ্গে সংসদ সদস্যের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ওই ফুলেল শুভেচ্ছার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক (বিএনপি সমর্থিত) শাহজাহান কবীর।
ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিএনপি থেকে নির্বাচিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান। স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ভবনের উদ্বোধন করতেই সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ভেন্না পাতার চেয়েও খারাপ টিনের ছাপড়া ছিল চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেটি পাকা করে দেয়ায় বাচ্চারা প্রখর তাপ আর ঝড়বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবে। সোনার টুকরা ছাত্রছাত্রীরা খুশী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই খুশী।
যে স্কুল ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে এসে শেখ হাসিনার কল্যাণে পাকা দালান পেল সেইরকম দিনে এসেও কেউ এটা নিয়ে কু-রাজনীতি করতে পারে এটা সত্যিই লজ্জাজনক।
ভিডিওটির কারণে কারো মনে অযাচিতভাবে আঘাত দিয়ে থাকলে সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির আন্তরিকভাবে দু:খিত!
Beyakkel MP should have stopped it right away. When MPs are uneducated ( and perhaps unelected) , it is bound to happen . Freedom fighters are respected but they are not equivalent to any Gods of any religion. There were many believing Muslim students. the teachers whoever designed the program, it was designed to weaken the belief in ONE GOD.
পাঠক মন্তব্য
Beyakkel MP should have stopped it right away. When MPs are uneducated ( and perhaps unelected) , it is bound to happen . Freedom fighters are respected but they are not equivalent to any Gods of any religion. There were many believing Muslim students. the teachers whoever designed the program, it was designed to weaken the belief in ONE GOD.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন