নারায়ণগঞ্জ চার আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘কিছু ডক্টর এক হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। অনেকে স্বপ্ন দেখছেন দেশে কিছু একটা ঘটবে। আর পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ২০১৪ সালের মতো আবার মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেন তবে শেখ হাসিনার কর্মীরা প্রস্তুত আছে তা মোকাবিলা করার জন্য । রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির অভিষেক ও ডিজিটাল বার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), নজরুল ইসলাম বাবু, সংরক্ষিত নারী এমপি হোসনে আরা বাবলী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান প্রমুখ।
শামীম ওসমান বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী একজন বৃদ্ধ মানুষ। বিএনপি এই বৃদ্ধ মানুষটাকে রেললাইন দিয়ে দৌড়ানি দিয়েছিলেন। দৌড়াড়ে-দৌড়াতে তিনি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। পরে ৫০ সিসির একটি মোটরসাইকেলে উঠে কোনো রকমে জান বাঁচিয়েছিলেন। সেই বি চৌধুরী হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে বিএনপি এখন আলোর মুখ দেখেছে।’
তিনি বলেন, সামনে অনেক খেলা হবে। নরপশু ঘাতকরা থাবা দেবে। শামীম ওসমান বলেন, ‘আন্দোলন করবেন কোনও আপত্তি নাই, জনগণকে সম্পৃক্ত করবেন কোনও আপত্তি নাই। নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসেন কোনও আপত্তি নাই। তবে যদি কেউ মনে করেন, ২০১৪, ১৫ সালের মতো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করবেন, গান পাউডার দিয়ে গাড়িতে আগুন দেবেন, কোনও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সঙ্গে মোহাম্মদপুরে গোপন বৈঠক করে পেছনের দিক দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন সেই স্বপ্ন আপনাদের পূরণ হবে না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ উঁচু গলায় বলতে পারছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছি। পৃথিবীর কোনও রাষ্ট্রের কাছে মাথা নত করেনি।
শামীম ওসমান আইনমন্ত্রী ও আইনজীবীদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে বা উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বিরুদ্ধে কি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত না? বিদেশের পত্রপত্রিকায় দেখি বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি হিলারী ক্লিনটনের সঙ্গে বসে বাংলাদেশকে চোর সাব্যস্ত করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন?
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন