সরকার সরাতে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐক্যের কথা বলে গেছেন। ঐক্যের বিকল্প নেই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর মাধ্যমে দানব সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০-দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাড়ে চার হাজার গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। তারা (সরকার) এখন ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। তারা বুঝতে পেরেছে, বিএনপি নির্বাচনে গেলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।’
‘তাই সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। সরকার এটাও জানে, দেশনেত্রী কারাগার থেকে বের হয়ে আসলে জনগণ তাদের তক্তে তাউস ধুলার মতো উড়িয়ে দিবে’ যোগ করেন তিনি।
নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কথা খুব পরিষ্কার- দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। সমস্ত নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়ন করতে হবে।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এইভাবে কি ক্ষমতায় থাকা যায়? যায় না। আমরা জানি, আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন। জনগণও অন্যায়কে কখনও প্রশ্রয় দেয় না। ১০ বছর ধরে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না ভয়াবহ দুঃশাসনের জাঁতাকলে জনগণ প্রতিনিয়ত নিষ্পেষিত হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কি দুর্ভাগ্য আমাদের! যে নেত্রী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নির্যাতিত হয়েছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। ৭৩ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট সরকার কারাগারের ভেতর আদালত বসিয়ে বিচার করতে চাচ্ছে। এটা সংবিধানবিরোধী।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা রাখেননি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা সব সিনিয়র নেতারা অসুস্থ বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। এই রকম একটা নির্মম সরকার গোটা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে। এদেরকে সরকারও বলা ঠিক হবে না। এরা অবৈধ সরকার। বন্দুকের-পিস্তলের মাধ্যমে এরা ক্ষমতায় আছে।’
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নূর হোসেন কাশেমীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টি (জাফর) আহসান হাবীব লিংকন প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন