বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, দলীয় সরকার থাকলে নির্বাচন কখনো নিরপেক্ষ হতে পারে না, অতীতে তা প্রমাণ হয়েছে। আমরা সকলের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, অবাধ, নিরপেক্ষ, অর্থবহ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। শুক্রবার পুরানা পল্টন সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ প্রতিবেদককে তিনি এসব কথা বলেন।
সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক বলেন, আমাদের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে আছে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করা সকল নির্বাহী বিভাগের প্রধান কাজ। অর্থাৎ সরকারও ইসিকে সহায়তা করবে। কিন্তু আমরা দেখেছি দলীয় সরকার হলে সহায়তা না করে প্রভাব বিস্তার করে। এর মধ্যদিয়ে নির্বাচনে প্রশাসনিক কারসাজির সুযোগ সৃষ্টি হয়। এসব বিবেচনায় নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকারই জরুরি।
প্রিন্স বলেন, যদি সংসদ বহাল থাকে তা হলে নির্বাচনের সময় ওই সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় পদ ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার করবেন। যাতে করে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের এবং ভোটারদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ব্যাহত হবে। এই বিবেচনায়ও সংসদ বহাল রাখার কোন কারণ নেই। তাই আমরা নির্বাচন ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া ও নিরপেক্ষ সরকার গঠনের কথা বলেছি। তবে, এ বিষয়ে আরেকটি কথা বলতে চাই যে, ইসি যথাযতভাবে মেরুদ- সোজা করে দায়িত্ব পালন না করতে পারলে কোন সরকারে কাজে লাগবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান ইসি মেরুদ- সোজা করে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এ ইসি পুনর্গঠনের দাবি আমাদের। এখন আমাদের লড়াই হলো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায় করা। আমরা এ জন্য আন্দোলনে আছি। সাধারণভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের থাকে এবং আছে। সিপিবির বিভিন্ন অঞ্চলের নেতারা প্রায় দেড়’শ আসনে নির্বাচন করার জন্য তাদের প্রস্তুতি রেখেছে। তবে, নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়া নির্ভর করবে নির্বাচন ঘোষণার পর বাস্তব অবস্থার ওপর।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলে বাম জোটগতভাবেই নেয়ার চেষ্টা করবো। যা হবে মহাজোটের বাইরের বিকল্প শক্তি সমাবেশ। আমরা গদির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নীতির পরিবর্তনও ঘটাতে চাই। আশা করি বাম জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও অনুকূল পরিবেশ থাকলে সব আসনেই আমাদের প্রার্থী থাকবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন