চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে দেশ জাতিকে মুক্তি দিতে ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে বাংলাদেশ ন্যাপ।
শনিবার যাদু মিয়া মিলনায়তনে রাজনীতিক শহীদ এসএমএ রবের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়ার আয়োজন করে ন্যাপ।
ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক যখন প্রধান বিরোধী দলের সাথে সংলাপের বিষয়টিকে এড়িয়ে যান তখন জাতির মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সরকারের মনে রাখা উচিত বল প্রয়োগ করে কোনো সমস্যার সমাধান কারোর জন্যই কল্যাণকর নয়। আলোচনার মধ্য দিয়েই সমস্যার সমাধান জাতির জন্য কল্যাণকর।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীকে কোমরে দড়ি লাগিয়ে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। এ যেন গোটা ছাত্রসমাজের কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে নেয়া হচ্ছে। এটা জাতির জন্য শুধু লজ্জার নয় এ দৃশ্য দেখে মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে। সরকার কতটা নিষ্ঠুর নির্মম হতে পারে যে, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায্য আন্দোলনের দাবি দমন করতে তাদের গ্রেফতার করে পায়ে ডাণ্ডা বেড়ি ও কোমরে দড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ সরকার টিকিয়ে থাকতে কতটা নির্মমতার পথ বেছে নিতে পারে, এটি তার একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ।
তিনি শহীদ এসএমএ রবের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পাড়বে না। এসকল হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া একটি জাতির জন্য লজ্জাজনক।
শহীদ এসএমএ রব স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় সংগঠনের সমন্বয়কারী মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, গণতান্ত্রিক ঐক্য আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন সভাপতি মুহম্মদ মফিজুর রহমান লিটন, সাংবাদিক মো. মতিউর রহমান সরদার, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ মুছা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু প্রমুখ।
এছাড়াও খুলনা বসুপাড়া কবরস্থানে এসএমএ রবের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পারিবারিকভাবে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মরহুমের জেষ্ঠ্যপুত্র আরিফুর রহমান মিঠু।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন