বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনকে এতদিন ভদ্রলোক হিসেবেই জানতেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, উনার (ড. কামাল) ভাষার মধ্যে আর গুণ্ডাদের শারীরিক অ্যাকশনের ভাষার মধ্যে আমি পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না। এটি অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক।
তিনি বলেন, বিএনপি এবং ড. কামাল হোসেনরা বেসামাল ভাষায় কথা বলছেন। তাদের ভাষা আর গুণ্ডাদের অ্যাকশনের ভাষার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ নিয়ে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি (ড. কামাল) বলেছেন গুণ্ডাতন্ত্র। হ্যাঁ, তিনি এ কথাটি সঠিক বলেছেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল-কলেজের ড্রেস পরিয়ে কারা বিএনপি-জামাতের গুণ্ডাদের নামিয়েছিলেন, কারা স্কুলের ব্যাগের মধ্যে চাপাতি এবং পাথর রেখেছিলেন, কারা সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং হেনস্থা করেছেন, তা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেরিয়ে আসছে। তিনি হয়তো সেগুলোর কথাই বলেছেন। তাই উনার ভাষার মধ্যে আর গুণ্ডাদের শারীরিক অ্যাকশনের ভাষার মধ্যে আমি পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না। এটি অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। কারণ ড. কামাল হোসেনকে এতোদিন একজন ভদ্র ব্যক্তি হিসেবেই জানতাম।
‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কখনো বন্ধ করা যাবে না’ বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে গেছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ায় তারা আনন্দ মিছিল করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের মধ্যে বিএনপি-জামাতের ক্যাডাররা প্রবেশ করেছে। তারা এটাও বুঝতে পেরেছে এই ক্যাডারদের কারা নামিয়েছে।
‘সাইরেন বেজে গেছে’ বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সাইরেন বেজেছে ১/১১ কুশীলব এবং ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য। এই সাইরেন জনগণ দিয়েছে তাদেরকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকা অবস্থায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু সংসারকে আগলে রেখেছেন তা নয়, আওয়ামী লীগকেও আগলে রেখেছিলেন। সেই জন্য আজকে বঙ্গবন্ধুর যত অর্জন তার সাথে যে নামটি ইতিহাসের পাতায় জুড়ে আছে সেটি হচ্ছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আওয়ামী লীগের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা এবার ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছে তারা কিন্তু বসে নাই। রাত বিরাতে তারা বিভিন্ন জায়গায় বসছেন। সুতরাং ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউছুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন