তিন সিটিতে একক মেয়র প্রার্থীর ব্যাপারে ঐকমতে আসতে পারেনি ২০ দল। গতকাল বুধবার ২০ দলীয় জোটের বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। আগামী ২৭ জুন এ নিয়ে আবার ২০ দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঐ বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। গতরাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস পর ২০ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২০ দলীয় জোটের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ এবং জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন না। আগামী ৩০ জুলাই বরিশাল, রাজশাহী এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণের লক্ষে ২০ দলের এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকে জামাতের পক্ষ থেকে আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। ঐক্যবদ্ধ প্রার্থীর ব্যাপারে তিনিই জামাতের অবস্থান তুলে ধরেন। আবদুল হালিম বলেন, রাজশাহী এবং সিলেট দুই সিটি করপোরেশনে বিএনপির চেয়ে জামাত শক্তিশালী। দুটিতেই জামাতের শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তি রয়েছে। তাই জামাত মনে করে তিন সিটির অন্তত একটিতে জামাতের প্রার্থীকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়া উচিত। দুটি দল বাদে সকলেই জামাতের এই দাবিকে সমর্থন করে। জামাত নেতা আবদুল হালিম বলেন, ‘যেহেতু আমাদের নিবন্ধন এবং প্রতীক নেই, তাই আমরা ধানের শীষ নিয়েই নির্বাচন করব। এতে আমাদের বিজয় নিশ্চিত।’
বৈঠকে শরীকদের অন্তত দুজন বলেছেন, ‘বিএনপিকে স্যাক্রিফাইস শিখতে হবে। আপনারা নিজেরা প্রার্থী ঠিক করে বার বার আমাদের উপর চাপিয়ে দেন। এভাবে তো জোট চলবে না।’ বিএনপি মহাসচিব শরিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, সিটি নির্বাচন ২০ দলের জন্য অগ্নি পরীক্ষা। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে। তিনি বলেন, ‘ জামাত যে দাবি করছে তা মোটেও যৌক্তিক না। আমরা সবাই জানি কার কত ভোট আছে। এখন জেদাজেদি করার সময় না।’ তিনি বলেন, ‘রাজশাহী এবং সিলেটে দুই সিটিতেই আমাদের মেয়র। তাঁরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল। এখন হুট করে তাদের বাদ দেওয়া কীভাবে সম্ভব।’ কিন্তু জামাত তাদের প্রার্থীর ব্যাপারে অনড় অবস্থানে থাকেন। আবদুল হালিম এটাও বলেন যে, ২০ দলীয় জোট জাতীয় নির্বাচনের জন্য, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য নয়।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আপনারা সরকারের ফাঁদে পা দেবেন না। আমাদের কাছে খবর আছে সরকার ২০ দল ভাঙার চেষ্টা করছে। এটা তারই আলামত।’ জামাত নেতা অবশ্য ড. খন্দকার মোশাররফের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘জামাতের বেঈমানীর ইতিহাস নেই, বিএনপির আছে। কারা রাতে সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করে তা আমরা জানি।’ অবশ্য পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিএনপি মহাসচিব জানান, পরবর্তী বৈঠকে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন