জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ট্যাক্স খতিয়ানে যে সম্পদের বিবরণ দিয়েছে তাতে তার আয়ের উৎস ‘জুয়া’ বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, তারেকের স্ত্রী ও কন্যার সম্পদের যে পাহাড়, এর উৎস কী? এসব সম্পদ তো দেশের সম্পদ লুট ও দুর্নীতি করেই গড়া। এটা আমার কথা নয় বিশ্বের বিভিন্ন দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে এসব দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে। তারেক ও তার পরিবারের এসব সম্পদের পাহাড় যা অনেকটাই পাচার হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এসব সম্পদ দেশে ফেরত আনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।
বুধবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দল বিএনপির সমালোচনা করে দীপু মনি বলেন, বিএনপি এমনই একটি দল যার জন্ম অবৈধভাবে, ক্ষমতায়ও বিএনপি অবৈধভাবে এসেছে, প্রতিষ্ঠিত করেছে। আর এসব অবৈধ সম্পদ রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির জন্ম, দলটি এসব দুর্নীতি ও সম্পদ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারেক জিয়ার মতো একজন দুর্নীতিবাজকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই। তার পাচার করা সম্পদ এ দেশের জনগণের, তাই সেই সম্পদও দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে বন্ধুপ্রতীম দেশের প্রতি আহ্বান জানাই।
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আদালতে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তিনি দণ্ডিত আসামি। তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করছে। খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে সুযোগ দিতে দাবি জানাচ্ছে, এ দাবি হাস্যকর। কেননা, বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে তা বৈধ করেছে। অবৈধ সম্পদ বানিয়েছে, তা রক্ষা ও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তারা আবারো ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। দুর্নীতি করা ও তা রক্ষার জন্যই বিএনপির জম্ম এবং তাদের আন্দোলন সংগ্রাম।
সম্প্রতি মার্কিন সরকার বৈশ্বিক জলবায়ু
অভিঘাতের ক্ষয়-ক্ষতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে নিজেদের সরে দাঁড়াবার ঘোষণা দিয়েছে জানিয়ে ড. দীপু মনি বলেন, তারা আর অর্থ দিতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে। তারা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণা আমাদের হতাশ করেছে। কথায় বলে, রাজায় রাজায় লড়াই হয়, উলুখাগড়ার পরান যায়।
মাদকের ভয়াবহতার বিষয়ে মিয়ানমারের সমালোচনা তরে দীপু মনি বলেন, আমরা বহুবার মিয়ানমারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু তারা তাতে কান দিচ্ছে না, সহযোগিতা করছে না। যার ফলে সে দেশ থেকে এখনো ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক আসছে। তারা শুধু রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও হত্যা করেনি, তাদের ওপর মানবেতর অত্যাচার চালিয়েছে, যার ফলে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিয়েছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন