সাভারে আধিপত্য বিস্তার ও একটি নির্মাণাধীন কারখানায় মালামাল সরবরাহকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও থানা যুবলীগ নেতার মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সাভার মডেল থানায় দায়ের করার পৃথক দুটি মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সাভার থানা যুবলীগের সভাপতি ও ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য সেলিম মন্ডলের ছোট ভাই এবং বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামাদ মোল্ল্যার ছেলে বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে সাভার থানা যুবলীগের সভাপতি ও ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য সেলিম মন্ডল মদ্যপ অবস্থায় সাভার থেকে আক্রানের বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কালিয়াকৈর এলাকায় পৌঁছলে বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামাদ মোল্ল্যার লোকজন তার গতিরোধ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে সামা তার শর্টগান (লাইসেন্সকৃত) দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ফাঁকা গুলি চালায়। পরবর্তীতে যুবলীগ নেতা সেলিমও পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাভার থানা যুবলীগের সভাপতি ও ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য সেলিম মন্ডল, বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামাদ মোল্ল্যা ও বিরুলিয়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীনুল কাদির জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। পরে উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত তিনটি অস্ত্র পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন