ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতার শক্তিতে এখন দেশে দণ্ডমুণ্ডের কর্তা সেজে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বলেছেন, ‘বাংলাদেশে চলছে এক আজব শাসন। এখানে বিরোধী দল, বিরোধী মতের বিশ্বাসী মানুষেরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। তারা (আওয়ামী লীগ) এখন দেশে দণ্ডমুণ্ডের কর্তা সেজে বসে আছে।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী ২১ জুন সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন।
রিজভী বলেন, ‘এই মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। ইউনাইটেড হাসপাতালে তার যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে। দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে গাজীপুর সিটি এলাকা এই কর্মসূচির বাইরে থাকবে।’
রিজভী অভিযোগ করেছেন, খালেদা জিয়াকে শুধু অন্যায়ভাবে সাজাই দেয়া হয়নি, এখন তার ওপর চলছে নানা কায়দায় অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন। তার শারীরিক অসুস্থতার যাতে যথাযথ চিকিৎসা না হয়, এর জন্য সরকার এমন কোনো ফন্দি নেই যা আঁটছে না।
সরকারকে সতর্ক করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘লেট ক্লিয়ারিংয়ের জন্য সরকারকে অনেক বেশি ড্যামারেজ দিতে হবে। আমি সরকারকে বলতে চাই, এই মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে তার যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নইলে লেট ক্লিয়ারিংয়ের জন্য অনেক বেশি ড্যামারেজ দিতে হবে।’
খালেদা জিয়ার ওপর নানা কায়দায় অমানবিক নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) যাতে যথাযথ চিকিৎসা না হয় সেজন্য সরকার এমন কোনো ফন্দি নেই যে করেনি। চিকিৎসা বিলম্বিত করতে সরকারের মন্ত্রীরা নানা কাহিনি শোনাচ্ছেন। এখন শুধু কারা কর্তৃপক্ষই নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা এমন কথা বলছেন, যেন খালেদা জিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হলে তাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়াকে হাতের মুঠোয় রাখতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে চায় না। তিনি আগে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে এখনও সেখানে চিকিৎসা করাতে চান।’
সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন