কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ আলী।
সোমবার বিকেলে তিনি এই সাক্ষাৎ করেন। তবে এ সাক্ষাতের বিষয়ে এখনো গণমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি।
খালেদা জিয়া অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারছেন না: ফখরুল
কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থায় এতটাই খারাপ যে তিনি অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারছেন না। তার প্রতি অবিচার করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনরা দেখা করেছেন। তার শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক নাজুক। তিনি একা হাঁটতে পারছেন না। আমরা আজকের মধ্যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া জনগণের সম্পদ, জনগণের নেত্রী। তার জীবনের মূল্য আমাদের কাছে অনেক বেশি। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করবো। জনগণই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো, গণতন্ত্রকেও মুক্ত করবো।’
আরো পড়ুন…
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মেলেনি, ফিরে এলেন নেতারা
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না মেলায় ফিরে গেলেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
দুপুর ১২টার দিকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আসেন।
এ সময় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের কারাফটকের দিকে যেতে বাধা দেয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় অনুমতি না থাকায় তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকারের ইচ্ছার কারণেই খালেদা জিয়াকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। দলীয় চেয়ারপারসনকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়সহ বিভিন্ন সময় আমরা জেল খেটেছি। ঈদ ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আমরা বিনা অনুমতিতে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, আজকে ঈদের দিনে আমাদের নেত্রীর সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ৫ বছরের সাজা ভোগ করছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন।
দলীয় চেয়ারপারসন কারাগারে থাকায় ঈদে দলটির কোনো কর্মসূচি নেই। দলীয় নেতা কর্মীদের কারাগারের সামনে অবস্থান করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। এটাই বিএনপির কর্মসূচি বলে জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১১টায় কারাগারে সামনে আসেন বিএনপির অঙ্গ সংগঠন মহিলা দলের নেতা কর্মীরা। এরপর সেখানে মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনের আরও কয়েক শ নেতা কর্মী জড়ো হয়। তবে পুলিশ তাদের কাউকেই কারা ফটকের কাছে যেতে দেয়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন