‘সরকার তাকে (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে নিতে চাইলে তিনি যখন যান না, তখন অনেকে মনে করেন তিনি অসুস্থ নন। কোনো অসুস্থ লোক হাসপাতাল পছন্দ নিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে পারে না।’
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা নির্বাচনে আর্মি চান। অথচ আর্মির হাসপাতালে যেতে চান না, এটা কেন? যার সিএমএইচের প্রতি আস্থা নেই, তার দল নির্বাচনে আর্মি চায় কিভাবে? পারটিকুলার একটি হাসপাতাল বলেন কেন? সেই হাসপাতালের চেয়ে বড় হাসপাতাল তো আরও আছে। স্কয়ার আছে, ল্যাবএইড আছে।
বিএনপির দাবি আদায়ে ঈদের পর সর্বাত্মক আন্দোলন প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত সাজা দিয়েছে একটি দুর্নীতি মামলায়। এখানে আমাদের কিছু করার নেই বলারও নেই। তার মুক্তির জন্য বিএনপির আইনজীবীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেটা আদালতের সাথে সম্পৃক্ত। আর আন্দোলনের কথা যেটা বলছেন সেটা হলো, একটি দল গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করতে পারে। এই এখতিয়ার সবারই আছে। কিন্তু সেই আন্দোলন ২০১৩ সালের মতো জ্বালাও পোড়াও, অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা, পুলিশ হত্যা, প্রিজাইডিং অফিসার হত্যার মতো আন্দোলন করার ক্ষমতা বিএনপি রাখে বলে আমি মনে করি না।
মন্ত্রী বলেন, আর যদি তারা এমন আন্দোলনের চেষ্টা করে তাদের ইতিহাসে আরেকটা ভুল যোগ হবে। কারণ সেই সময় আন্দোলনের নামে এমন অপকর্ম করে তাদের লাভ হয়নি। বরং আজ তারা ক্ষতিগ্রস্ত। আজ বিএনপির এমন নাজুক পরিস্থিতির জন্য দায়ী ২০১৪ সালে নির্বাচনে তাদের অংশ না নেওয়া।
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে ধরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, থাকসিন সিনাওয়াত্রা নির্বাচন ভালোভাবে শেষ করতে পারেননি। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে তার দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও যোগ্যতা দিয়ে নির্বাচন ভালোভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে এটা আমাদের লাভ হয়েছে। আমরা সরকার গঠন করেছি। এরপর বাংলাদেশে নানা আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছে। ফলে বিদেশিদের স্বীকৃতি নিয়েও কোনো সমস্যা হয়নি। মাঝখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি।
মন্ত্রী বলেন, মওদুদ আহমদের কথা অনুযায়ী এ সরকারকে বড় আন্দোলন ছাড়া হটানো যাবে না। আমি মনে করি সেই আন্দোলনের সামর্থ্য বিএনপির নেই। এটা পরিষ্কার। আর আইনশৃঙ্খলা হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ বিএনপিকে দেওয়া হবে না। সুতরাং তাদের আন্দোলন বিগত সময়ের মতোই ব্যর্থতায় পরিণত হবে। তারা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছে তা কোনো দিন বাস্তবায়ন হবে না। আর সহায়ক সরকারের কোনো সুযোগ সংবিধানে নেই।
নিত্যপণ্যের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে বলবো নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য নিয়ে পত্রপত্রিকায় ভালো সংবাদ পরিবেশন করবেন। আমি এর আগেও বলেছিলাম মানুষ একসাথে রমজানে যখন বাজার করে তখন এক-দুই দিনের জন্য হয়তো কিছু পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এতো বেশি মজুদ আছে যে দাম স্বাভাবিক থাকবে। ব্যবসায়ীরাও আমাদের কথা দিয়েছিল তারা কথা রেখেছে। দাম এবারের রমজানে স্বাভাবিক ছিল।
আপনারা দেখেছেন পেঁয়াজ ও চিনির দাম নিয়ে শঙ্কা ছিল কিন্তু পেঁয়াজের দাম সর্বনিম্ন ছিল। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়েছি। সব জায়গায় একটা প্রশ্ন করেছি। ভোগ্যপণ্যের দাম কমেছে কি না। তারা সবাই বলেছে- কমেছে, যোগ করেন মন্ত্রী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন