বিএনপি নেতারা কি প্রতিদিন দেখা করবেন? আত্মীয়স্বজন যখনই দেখা করতে চেয়েছে তারা দেখা করেছে। আমরা যখন জেলে ছিলাম তখন আত্মীয়রাই দেখা করেছে। দলীয়দের দেখা করার কোনো সুযোগ সেখানে ছিল না। তারপরও তিনি একজন বড় নেত্রী হিসেবে আইনজীবীদের সঙ্গে বা কিছু কিছু সময় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তাই বলে বিএনপি নেতারা প্রতিদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, সে সুযোগ নেই। এটা জেলখানা, কারো বাসভবন নয়।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাদুয় কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বারবার আমরা একটি কথা বলেছি। স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রীও বলেছেন। বাংলাদেশে সিএমএইচ ছাড়া ভালো চিকিৎসা কেন্দ্র নেই। তিনি সেখানে যেতে চান না কেন? সম্মিলিত সামরিক হাসাপাতালে যেতে তার কোথায় সমস্যা। এখানকার চেয়ে সুচিকিৎসা আর কোথাও আছে কি না আমাদের তা জানা নেই। আমার সন্দেহ হয় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা আছে কি না। তার শারীরিক অবস্থার চেয়ে বিএনপি আন্দোলনের ইস্যু খোঁজার বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করছেন তারা।
শেখ হাসিনা জেলে থাকাকালে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন তাহলে খালেদা জিয়াকে কেন নয়- এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন যদি আমাদের নেত্রীকে সিএমএইচে অ্যালাও করা হতো তাহলে তিনি স্কয়ারে যেতেন না। এটা হলো সত্য।
ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা প্রসঙ্গে ওবাদুল কাদের বলেন, এবারের ঈদ আয়োজনে যথেষ্ঠ পরিশ্রম করতে হয়েছে। ঈদের আগের দিনেও আমি ওভার পাসে অনেক সময় কাটিয়েছি। ঈদের পর স্থানীয় অনেকগুলো নির্বাচন হবে। তার পরপরেই জাতীয় নির্বাচন। এসব বিষয়ে আমি তৃণমূলে অনেক সময় দিয়েছি। এ কারণে কিছুটা অসুস্থবোধ করছি। তারপরও প্রথম দিন ছুটির পর ভাবছিলাম আজ বের হবো। পরে আবার ভাবলাম প্রথম দিন অফিসে অনুপস্থিত থাকা ঠিক নয়। সবার সাথে অনেক কথাবার্তা হলো।
মন্ত্রী ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এতো সাংবাদিক আজ উপস্থিত। ভাবতেই পারিনি। আজ দেখে মনে হচ্ছে সাংবাদিকদের তেমন ছুটি নেই। সাংবাদিকদের সবসময় অ্যাসাইনমেন্ট থাকে, কাজ করতে হয়। এবারের ঈদে আপনারা জানেন মেঘনা ব্রিজ, ফেনী, কালিয়াকৈর ও বাইপাইল এলাকা আমি আকস্মিক পরিদর্শন করেছি। সব মিলিয়ে এবার স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হয়েছে। এটা সবাই একযোগে স্বীকার করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের সম্বিলিত প্রচেষ্টার জন্য। একটি দৈনিক কাগজ মন্তব্য করেছেন, এবার সরকারের প্রস্তুতিটা ভালো ছিল। এটা সঠিক, প্রস্তুতিটা আসলে ভালো ছিল। বেটার ম্যানেজমেন্টের কারণে ঈদে কোনো সমস্যা হয়নি। এবার ঈদযাত্রায় অনেক আশঙ্কা ছিল কিন্তু আমাদের ভালো ব্যবস্থাপনার জন্য ভালোভাবে মানুষের বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়েছে। যাক এটার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক, প্রশাসন ও আনসারসহ সবাই আমাদের সহযোগিতা করেছেন। মাঠপর্যায়ে পুলিশ, সিভিল প্রশাসন সবাই মিলে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন। আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করেছেন। যে কারণে বেটার ম্যানেজমেন্ট তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ফলে ভালো একটা ফলাফল আমরা পেয়েছি। এ জন্য যাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকরা যেখানে যেখানে রাস্তা খারাপ এবং যানজটের আশঙ্কার সংবাদ পরিবেশন করে আগে ভাগেই ধরিয়ে দিয়েছেন। আমরা তা সংশোধন করেছি। এজন্য সাংবাদিকদেরও আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এবার দুর্ঘটনা হয়েছে কিছু। তবে গত কয়েকবারের তুলনায় এবার দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার অনেক কম হয়েছে। তবে খুব কম হয়েছে তা নয়। মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমেছে। এবার আমার জানা মতে ৬০ থেকে ৬৫ জন মানুষ দুর্ঘটনায় মারা গেছে। গতকাল রাতে নীলফামারীতে মারা গেছে এক সাথে ১০ জন। এটাই একটি বড় দুর্ঘটনা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন