নাগরিক ঐক্যের ইফতারে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পরে জানাবেন বলে আর জানাননি। এমন অভিযোগ করেছেন সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, প্রথম দিন আমি যখন তাকে দাওয়াত করি, তখন তিনি বলেছিলেন পরে জানাবেন। কিন্তু জানাননি। পরে আবারও মেসেজ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি উত্তর দেননি।
আল্লাহ যে সম্মান দিয়েছেন, আর কিছু চাওয়ার নেই: কাদের
‘হুজুর মাথায় টুপি দেখতেছি, কিন্তু হেলমেট পরেননি কেন’
রোববার (২৭ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত 'গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই' শীর্ষক সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। এ ইফতারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকেও দাওয়াত করা হয়েছিল বলে জানান মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, সাবেক একজন রাষ্ট্রপতি বললেন, সরকারি দলের একজন এমপি মাদকের সঙ্গে জড়িত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো অনেক পাই কিন্তু প্রমাণ তো পাই না। যদি প্রমাণ ছাড়া বদির চুল ধরা না যায় তাহলে প্রমাণ ছাড়া এখন পর্যন্ত যে ৬৪ জন গুলি করে মেরেছেন তার সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জবাব দিতে হবে। তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ আমাকে বলছেন, এরপর অস্ত্র উদ্ধারের নামে অভিযান হবে, পরে চোরাকারবারি ধরার নামে অভিযান হবে। ক্রসফায়ার চলতেই থাকবে। এরমধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, সবাই যাতে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাই সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেবে না। যদি দিত তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার একটি জামিন নিয়ে এভাবে তাল্টিবাল্টি করত না।
মান্না আরও বলেন, শুধু যদি মনে করেন জোট বেঁধে নির্বাচন করলেই আমরা জিতে যাবো তাহলেও পারবেন না। সেটা খুলনার নির্বাচনে শিক্ষা দিয়েছে। আর একটি শিক্ষা আমাদের গাজীপুরে দিতে চায়। গাজীপুরে সেই লড়াই করার প্রস্তুতি নেন। যাতে করে সব হত্যা, গুম, সবধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি। ঐক্যবদ্ধ মানে এক মঞ্চ বলছি না, সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন