দুর্নীতি আর সহ্য করতে রাজি নন বিকল্প ধারার সভাপতি এবং তৃতীয় শক্তি হওয়ার আশায় গড়ে তোলা যুক্তফ্রন্টের শরিক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসতে চান তাদেরকে বুঝেশুনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তারা যেন বোঝতে পারেন দেশের মানুষ দুর্নীতিকে ঘৃণা করে।’
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে যুক্তফ্রন্টের অন্যতম শরিক নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ইফতার পূর্ব এক আলোচনায় কথা বলছিলেন সাবেক বিএনপি নেতা। এই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই’
যুক্তফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশের যে প্রেক্ষাপট তা এক কথায় বলছি। তাতে মালয়েশিয়ার মাহাথির বিন মোহাম্মদ খুব প্রাসঙ্গিক। মালয়েশিয়ার সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক অনেক উন্নয়ন করেছেন। অনেক কিছু বানিয়ে দেশটাকে আরও উঁচু করেছেন।’
“কিন্তু কর্মশালা করেছে দুর্নীতি করে। দেশেটাকে শেষ করে দিয়েছে। মাহাথির ও জনগণের যে বিদ্রোহ তা ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তিনি একটা কথায় বললেন, ‘আমার দেশে এই দুর্নীতি সহ্য করব না’।”
বিকল্প ধারার নেতা বলেন, ‘দুর্নীতির এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম। এই সংগ্রাম দেশে আইনের শাসন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। এটা এ সরকার এবং ভবিষ্যতের যে কোনও সরকারের বিরুদ্ধে।’
‘যারাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকবেন না, যারাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে থাকবেন না, যারা গণতন্ত্রকে অস্বীকার করবেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে আছি। আমরাও তাদের অস্বীকার করব।’
‘সেই জন্য বাংলাদেশে মুক্তির একটাই পথ। আমরা আবারও বলছি কেউ দুঃখিত হবে না।’
যুক্তফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘আমরা অনেক গুম, নিহত দেখেছি। গ্রেনেড মারা দেখেছি। আর সহ্য করব না। আমরা অনেক অগণতন্ত্র দেখেছি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারের পরে আইন মানা হয় না। ট্রাইবুনালের বিচারের পরে রায় মানা হয় না। হাজার হাজার মানুষ জেলের ভেতরে আছে, কতদিন চলবে এগুলো?’
‘আমরা সহ্য করতে রাজি না। বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে এবং এই জাগরণ থাকবে ইনশল্লাহ। আমরাও তাদের সঙ্গে থাকব।’
ইফতারে যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী,নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিকল্পধারার মহাসচিব আব্দুল মান্নান, আইনজীবী শাহদীন মালিক, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ন্যাপের একাংশের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সোনার বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর নূর প্রমুখ
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন