নানা কারণে তিনি দেশের আলোচিত এবং সমালোচিত সংসদ সদস্য। তৃণমূলের পাশাপাশি রাজধানীতে এসেও অভিনব কাজ করে বরবারই সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। সবচে বেশি আলোচিত হয়েছেন শ্রমিকদের সঙ্গে বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে। এরপর তার বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। তারই অনেক সহকর্মী সংসদ সদস্য এসব নিয়ে হাসাহাসিও করেন আড়ালে আবডালে। কথা হচ্ছিল সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার।
নিজেকে তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেছিলেন বলে প্রচার চালালেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জগলুল হায়দার শ্যামনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন। নিজের পরিবারের মধ্যে কেউ বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে কোনোকালেই জড়িত ছিলেন না বলে বিভিন্ন সময় বক্তব্য প্রদান করেন জগলুল হায়দার।
কিন্তু ভোরের পাতাকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এস এম জগলুল হায়দার এমপির আপন ভাই ব্যরিস্টার ইমরুল হায়দার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের একজন নির্বাহী সদস্য এবং শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি।
এছাড়া জগলুল হায়দারের বিরুদ্ধে সুন্দরবনে বাঘ হত্যার অভিযোগও রয়েছে। এমন একজন অনুপ্রবেশকারী মুখে মুখে আওয়ামী লীগ বললেও তিনি একজন ডিগবাজ রাজনীতিবিদ। ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে আসেন জগলুল হায়দার। তিনি সংসদে তেমনভাবে সময় দিতে না পারলেও এলাকায় বিভিন্ন ব্যতিক্রমী কাজ করে আলোচনায় থাকছেন নিয়মিত। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরো যাচাই বাছাই করে তৃণমূল আওয়ামী লীগের মতের ভিত্তিতে নৌকা প্রতীক দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের জনগণ।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জগলুল হায়দার বলেন, বহু আগে জাতীয় পার্টি করতাম, এখন তো আর করি না। আপন ভাই ইমরুল হায়দারের বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে জগলুল বলেন, ‘ হ্যাঁ, আমার ভাই আগে বিএনপির রাজনীতি করতেন, এখন করেন কিনা তা জানা নেই।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন