একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্র ভিক্তিক পোলিং এজেন্ট নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ক্ষতমাসীন দল আওয়ামী লীগ। আগামী রোজার আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু করতে চায় দলটি। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে ১২ লাখ পোলিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা অনেকটাই গুছিয়ে আনা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সফর শেষে আজ দেশে ফিরবেন দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশে ফিরলেই এ পরিকল্পনাটি তার কাছে উপস্থাপন করা হবে। কারণ ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি অনুমোদন দিলেই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ ছাড়া আগামী রোজার আগেই এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে চায় দলটি। এখনো এর দিন তারিখ চূড়ান্ত না হলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরপর বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কেন্দ্র ভিক্তিক পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরা তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পোলিং এজেন্টদের নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা শেখার পাশাপাশি সঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি শেখানো হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলের নেতাকর্মীর পাশাপাশি দেশের মানুষও এখন নির্বাচন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে আরো জোরেশোরে নির্বাচনী আমেজ বইবে। এ ছাড়া এর মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরও সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় রাখা সম্ভব হবে। ফলে আসন কেন্দ্রিক তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের পাশাপাশি সমন্বয় তৈরি করা হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর দু’সদস্য মানবকণ্ঠকে বলেন, এই মুহূর্তে তাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই আগে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা। আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনবে বলেও বিশ্বাস তাদের।
অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই ‘জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’ গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হোসেন তওফিক ইমাম কো-চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সদস্য সচিব মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া দলের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, নির্বাচন পরিচালনার অংশ হিসেবে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও কমিটি গঠনের চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ। বিভাগীয় পর্যায়ের এই কমিটিতে দলের একজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যকে আহ্বায়ক, সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাংগঠনিক সম্পাদককে সদস্য করা হবে।
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন