বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বাংলাদেশের পাসপোর্ট জমা দেয়ার খবর প্রকাশের পর বিএনপির পক্ষ থেকে আসা বক্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তিনি বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেননি। সোমবার জয় তার ফেসবুক পেজে এ কথা জানান।
শনিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যুক্তরাজ্যে জানান, তারেক রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্ট ত্যাগ করেছেন। আর এর জবাবে সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন বিদেশি পাসপোর্ট নিলে সমস্যা হয় না। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকীর প্রসঙ্গ টানেন।
রিজভী বলেন, ‘পাসপোর্ট সারেন্ডার করে তারা, যাদের ছেলে-মেয়েরা বিদেশিদের বিয়ে করে বিদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। বিদেশে বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’
যুক্তরাজ্যে জন্মানো টিউলিপ সে দেশের নাগরিক। তিনি সেখানকার লেবার পার্টি থেকে দুই বার সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন।
আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর জয়ও তার মা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদেশে কাটিয়েছেন দীর্ঘ সময়। তবে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বা পাসপোর্ট ত্যাগ করেননি।
বিএনপির আক্রমণের জবাবে জয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘সবার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে। গর্বের সাথে আমার সবুজ বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই আমি যাতায়াত করি।’
জয় বলেন, ‘বিএনপি সম্পূর্ণরূপে একটি অসৎ দলে পরিণত হয়েছে। তাদের কোনো কথাই আর বিশ্বাসযোগ্য না।
তারেক রহমানের বাংলাদেশি পাসপোর্ট জমা দেয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতা রিজভী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন, তার জবাব দিয়েছেন তিনি। রিজভী বলেছিলেন, তারেক রহমান পাসপোর্ট জমা দিলে সরকার যেন সেটা দেখায়। আর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোমবার দেশে ফিরে সাংবাদিকদের কাছে সে নথি দেখিয়েছেন। তবে রিজভী জয়ের বিদেশি নাগরিকত্ব বা পাসপোর্টের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন