একাদশ নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। তার পরও এ নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে দেশের দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলছে। বিএনপি চাইলেও সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে কোনো ছাড় দিতে নারাজ ক্ষমতাসীন দল।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্র দলগুলো ঢাকায় জনসভা করতে পারলেও তাদের এ সুযোগ দিচ্ছে না সরকার- এ রকম অভিযোগ বিএনপির। দলটি আরো মনে করে, কোনো ধরনের সংযোগ না থাকার পরও তাদের দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে একটি দুর্নীতি মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। এখন এ মামলায় জামিন নিতেও সরকার বাধা দিচ্ছে বলে দাবি তাদের। এ ছাড়া খালেদা জিয়াকে সরকারের গঠিত মেডিকেল বোর্ড যেসব চিকিৎসা দেয়ার সুপারিশ করেছে, তাও মানা হচ্ছে না বলে দাবি দলটির। এমতাবস্থায় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের ‘যোজন যোজন’ দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ হলে তা আবার সংবিধানে প্রতিস্থাপনের দাবিতে আন্দোলন করে বিএনপি। এই দাবি না মানায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে দলটি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে এসে বিএনপি তার দাবিতে পরিবর্তন আনে। এখন তাদের দাবি হচ্ছে, নির্বাচনকালীন সরকারের। যে সরকার হবে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ। তারা চায়, দলীয় সরকারের বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কোনো সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না। কিন্তু বিএনপির এই দাবিকে বেশ কয়েকবার নাকচ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বেশ কয়েকবার জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই নির্বাচন হবে’।
তবে ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাসদ সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সম্প্রতি তার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ১০টি দেশের ২৭ সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অভিযোগ করেছেন যে, ‘জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে বিএনপি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিয়ে কেবল শর্ত দেয়’। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কী উদ্যোগ নিচ্ছেন- এক বিদেশি সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তো চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আলোচনার পথ উন্মুক্ত রেখেছি। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিয়ে শুধু শর্ত দেয়’।
উল্লেখ্য, তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে ভারত, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রাজিল, তুরস্ক, ফিলিপাইন, ইথিওপিয়া, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানবকণ্ঠকে বলেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা আগামী নির্বাচন কোনো দলীয় সরকারের অধীনে হোক তা চাই না। আর শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না- এটা প্রমাণিত।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে, তার জন্য সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার প্রস্তাব আমরা বার বার দিয়ে আসছি। ক্ষমতাসীন দলই আমাদের এ আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সংশোধন করার ফলে সংবিধানের বর্তমান আদলে নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচন আমাদের আদায় করে নিতে হবে। এ কারণে সংবিধান আবারো সংশোধন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বা দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। এটাই আমরা চাই।
এদিকে কারাবাসে যাওয়ার পর তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ, কালো পতাকা প্রদর্শনসহ নানা ধরনের ‘অহিংস’ কর্মসূচিতে রয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ প্রথমদিকে না দিলেও পরবর্তী সময়ে এ ধরনের কর্মসুচি বাধা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর দিন গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটক থেকে বিক্ষোভ শুরু করে বিএনপি।
১০ ফেব্রুয়ারি ফের বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি দৈনিক বাংলা মোড় অতিক্রম করে ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের কাছে যেতে না যেতে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। জলকামানের রঙিন পানির তোড়ে আহত হন অনেক নেতাকর্মী। গ্রেফতার করা হয় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পানির ছিটায় ভিজে যান। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডাকা কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ওই দিন হঠাৎ পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এতে বহু নারীনেত্রী আহত ও গ্রেফতার হন।
এরপর ১ মার্চ সারা দেশে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। সেদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতার কারণে কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয়ের সামনের সড়কে লিফলেট দিয়ে দ্রুত চলে যান। ৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। সেদিন কর্মসূচির শেষ দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে আটক করে। এ ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনায় আসে। ৮ মার্চ সারা দেশে এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করাকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শেষ মুহূর্তে পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। সেদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি থেকে ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান রাজকে বিএনপির মহাসচিবের কোল থেকে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
তাছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় এখন পর্যন্ত সরকার দলটিকে জনসভা করার অনুমতি দেয়নি। ২২ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি না পাওয়ায় প্রথমে ১২ মার্চ, পরে ১১ মার্চ জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় ফের ১৯ মার্চ জনসভার জন্য আবেদন করে দলটি। ওই দিনও অনুমতি না পাওয়ায় ফের ২৯ মার্চ জনসভার জন্য আবেদন করে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। তবুও জনসভার অনুমতি পায়নি বিএনপি। এ ছাড়া ১০ মার্চ খুলনার হাদিস পার্কে এবং ১৫ মার্চ চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে জনসভা করতে চাইলেও অনুমতি পায়নি দলটি। ফলে শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সভা করতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শুধু নয়, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি যেখানে সমাবেশ করছে, সেখানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে বাধা দেয়া হচ্ছে কেন? আমরা তো শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি চালিয়ে আসছি। কারণ এ সরকার জনগণকে ভয় পায়। তারা জানে বিএনপির জনসভায় লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। যেটা সরকারি দলের জন্য লজ্জার ব্যাপার। কেননা তাদের জনসভায় বাধ্য করেও লোক যায় না। কিন্তু আমরা প্রত্যাশা করি সরকারের সুমতি হবে, তারা আমাদের কর্মসূচির অনুমতি দেবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি যথাসময়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বিকল্প কর্মসূচি দেবে।
এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানায়, বিএনপির প্রতি আর নরম সুরে কথা বলবে না সরকার। জাতীয় নির্বাচনের অব্যবহিত আগে আন্দোলনের নামে পরিবেশ ঘোলাটে হতে দেবে না প্রশাসন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে হার্ডলাইনেই থাকবে তারা। এ জন্য নানা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা। বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির জবাবে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল। এ ছাড়া বিএনপিকে এখন থেকে যে কোনো কর্মসূচি পালন করতে হলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে না- কেবলমাত্র এমন নিশ্চয়তা পেলেই বিএনপিকে প্রশাসন কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেবে।
সরকারের বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এখন থেকেই ‘সরকার বিরোধী আন্দোলন প্রতিরোধে’ মাঠে থাকবে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দলীয় কর্মসূচি পালনের নামে অপতৎপরতা রোধ করবেন তারা। এর অংশ হিসেবে রাজপথে যে কোনো কর্মসূচি পালন করতে হলে প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুমতি নিতে হয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যদি মনে করে, কারো কর্মসূচি পালনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে না, নাশকতা হবে না, তবেই তারা অনুমতি দেবেন। অন্যথায় নয়। শাসক দলের নেতারা বলছেন, বিএনপি কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা করে। জ্বালাও-পোড়াও ও ভাঙচুর করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। দলটির আন্দোলন কর্মসূচি যেহেতু লোক দেখানো, তাই আর সামনে এগোতে দেয়া যাবে না। নির্বাচনের আগমুহূর্ত পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারের শক্ত অবস্থানে যাওয়ার বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। বিএনপি জামায়াতের নাশকতাকারী বিভিন্ন কর্মসূচি কঠোর হাতে দমন করে সে প্রমাণই দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে নাশকতা করে সরকারকে হার্ডলাইনে যেতে বাধ্য করছে। তারা আহত কিংবা আটক হয়ে মানুষের সহানুভূতি প্রত্যাশা করে; কিন্তু জনগণ তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছে। সরকারও তাদের আর ছেড়ে কথা বলবে না, হার্ডলাইনে থাকবে। আওয়ামী লীগও রাজপথে থাকবে। বিএনপিকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র ও নাশকতার সুযোগ দেয়া হবে না। তিনি বলেন, নতুন করে যারা সহিংস আন্দোলনের চেষ্টা করবে, স্থানীয়ভাবে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গণতান্ত্রিক রীতিতে যে কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে। কিন্তু রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি নিতে হয়। এখন এ বাহিনী যদি কর্মসূচি ক্ষতিকারক বা ধ্বংসাত্মক মনে না করে, তাহলে অনুমতি দিতে পারে। আর পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকলে নাও দিতে পারে। এটা একান্তই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিষয়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কিছু বলার নেই।
অন্যদিকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতে সরকারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। দলটির নেতারা দাবি করেছেন যে, দুর্নীতি মামলায় যে রকম সাজায় তাদের নেত্রী কারাবন্দি, সেই সাজায় হাইকোর্টের এখতিয়ার রয়েছে জামিন দেয়ার। উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ চার কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে জামিন দিলেও এবং সেই জামিন চেম্বার জজ বহাল রাখলেও আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে দেয়। কুমিল্লার একটি মামলায়ও খালেদা জিয়াকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়েছে। কুমিল্লার এই মামলায় জামিনও পাওয়া যায়নি।
বিএনপি দাবি করে, রাষ্ট্রের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুদকের আইনজীবীদের সঙ্গে একত্রে খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করেছেন, যিনি আবার আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি চাচ্ছেন, আদালতে তার কর্মতৎপরতা যেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোপুত হয়। সেই লক্ষ্য নিয়েই মাহবুবে আলম সরকারের মনোবাঞ্ছা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাছাড়া দুদুক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়ানোর ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করেছে উচ্চ আদালত। এতে অন্য পক্ষের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে নোটিশ দেয়া হয়েছে যে, ‘কেন সাজা বাড়ানো হবে না’। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এটা নজিরবিহীন।
এমতাবস্থায় এই বড় দুই দলের বাইরের রাজনীতিকদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে যে, আগামী নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, বড় দুই দলের মধ্যে দূরত্ব ততই বাড়ছে। এভাবে যদি দূরত্ব বাড়ে, তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে- এটাই স্বাভাবিক। আগামী নির্বাচনসহ নানা ইস্যু নিয়ে দুই দলের মধ্যে একটি সমঝোতা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন