সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) নির্বাচনে সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের পর পদত্যাগপত্র জমা দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তবে তার সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী না হওয়ার ব্যর্থতার দায় নিজের মনে করে ফজলে নূর তাপস পদত্যাগপত্র জমা দেন। এমন খবরে আইনজীবীরা তা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেই সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী শেখ মো .মোরশেদসহ আইনজীবীরা ফজলে নূর তাপসকে সে সময় বলেন, ‘আপনি পদত্যাগ করবেন না। আপনি আমাদের অভিভাবক। পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করুন। আমরা আপনার নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হতে চাই না। আপনার নেতৃত্বে আমরা প্রয়োজনে শূন্য থেকে কাজ শুরু করব।’
এ সময় তাপস কোনো কথা না বলে নীরব থাকেন। এরপর সরকার সমর্থক সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবীরা ওই খবরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা তা প্রত্যাহারে আবেদন জানাতে থাকেন। তখন আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে ফোন করি। উনি (সাধারণ সম্পাদক) বলেন, পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।
অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনেরও পদত্যাগের গুঞ্জন ওঠে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফ হুমায়ুন জাগো নিউজকে বলেন, এসব সত্য নয়। তবে তিনি বলেন, পদত্যাগ করলে তো যে কোনো সময় করা যায়।
প্রসঙ্গত, ২১ ও ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ মেয়াদের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ-সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ১৪ পদের বিপরীতে মাত্র চারটিতে জয়ী হয়। নির্বাচনে সভাপতি, সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পান বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত আইনজীবীদের প্যানেল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন