দেশের অনেক খারাপ লাগার বিষয় এখন হজম করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিআরটিসি’র বিশেষ যাত্রীসেবা উষা সার্ভিস, উত্তরা সার্কুলার সার্ভিস ও অফিস যাত্রী সার্ভিসের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৈধ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসাবে গতকাল জাতীয় পার্টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছিলো। এ দেশে এ সকল বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে লাভ নেই।
স্বৈরশাসক হিসাবে যেই দিনটি জাতীয় পার্টি ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সেই দিনটিতে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছে বিষয়টি কিভাবে দেখছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারাতো নিবন্ধিত বৈধ রাজনৈতিক দল হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশে এ সকল বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে লাভ নেই। স্বৈরাচার শক্তি হিসাবে আমরা যাকে বলি, স্বৈরাচার পতনের কয়েক মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে এরশাদ সাহেব পাঁচ সিটে (আসন) বিজয়ী হয়েছিলেন। তারাতো নির্বাচন করে আসছেন। এখন সংসদে বিরোধী দল হিসাবে আছেন। বৈধ রাজনৈতিক দল হিসাবে তাদের সভা-সমাবেশ নতুন কিছু নয়। এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার পর কেন প্রশ্ন আসবে?
বাংলাদেশে এখন স্বৈরশাসনের অধীনে এবং গণতন্ত্রের নূন্যতম মানদণ্ড নেই জার্মান গবেষণা সংস্থা বেরটেলসম্যান স্টিফটুং এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দলের সিনিয়র সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও এইচ টি ইমাম সাহেব এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এখন আমাকে নতুন করে একই বক্তব্য রাখতে হবে? এটারতো কোন মানেই নেই। তবে আমি এটা বুঝি যেই মুহূর্তে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রমের স্বীকৃতি দিলো, সেই সময়ে এ রিপোর্ট কেন? এটা আমার প্রশ্ন।
গণহত্যা দিবস যারা পালন করবে না, তারা পাকিস্তানের পারপাস সার্ভ করছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান এ গণহত্যার দায় স্বীকার করে নাই, ক্ষমা চায় নাই, অনুতাপ প্রকাশ করেনি। সেই পাকিস্তানের বন্ধুরাই এ দিবস পালন করবে না, সেটাই স্বাভাবিক। এদেশে যারা সাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষক তারা পাকিস্তানের বন্ধু। যারা এ গণহত্যা দিবস পালন করছে না, তারা পাকিস্তানের বন্ধু, পাকিস্তানের দোসর।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আপতত ভারত থেকে ৫০০ ট্রাক, ২০০ ডাবল ড্রেকার এবং ১০০ নন এসি গাড়ির আনার বিষয়ে অচিরেই টেন্ডার হবে। আশা করছি আগামী অক্টোবরের মধ্যেই এ সকল বাস বিআরটিসির বহরে যুক্ত হবে। এ সকল গাড়ি আনা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিলো। আমরা বৈঠকের পর বৈঠক করেছি। কোয়ালিটির বিষয়ে আমাদের কিছু কিছু কোয়ারি ছিলো, তাতে ভারতও একমত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৩টি নতুন রুটে ৬৫টি গাড়ি চালু করা হয়েছে। আজকেও তিনটি রুটে বিআরটিসির ১০টি গাড়ি যাবে। দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় বিআরটিসির অনেকগুলো গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থান ছিলো। সে রকম ১২০টি গাড়ি চালু হয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন