বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান কর্মসূচিকে যেমন পাত্তা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ, তেমনি বিএনপি নেতাদের আন্দোলনের হুমকিও আমলে নিচ্ছে না তারা।গত বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলনের কথা বলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, বিএনপির কোনও শক্তি নেই। ফলে আন্দোলন করার ও জয়ী হওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
আওয়ামী লীগ মনে করে, অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে বিভিন্ন দলের মিশেলে তৈরি বিএনপি নামক দলটি। কারণ, বিএনপির রাজনীতি জনকল্যাণমুখী নয়, আরাম, আয়েশ, দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের। বিএনপির নেতাদের বক্তব্য কর্মীদের চাঙ্গা রাখার জন্য, আন্দোলনের জন্যে নয়।জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিএনপির হুমকি-ধমকি অতীতেও শুনেছি, এখনও শুনছি। কিন্তু আন্দোলন আর দেখি না। সামনেও আন্দোলন দেখবো বলে মনে হয় না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের মুখে আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষের হাসি পায়। তাদের মুখে আন্দোলনের কথা শুনে এসেছি, কিন্তু রাজপথে তারা আসে না।’তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ তাদের সঙ্গে নেই, তাদের নেতাকর্মীরাও এখন আন্দোলনের পক্ষে নেই। ফলে তাদের আন্দোলন আর হয় না।’তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র দাবি করেছে, বিএনপি আন্দোলনে নামুক আওয়ামী লীগও তা চায়।
কারণ, বিএনপির আন্দোলন শুরু হলে ভোগান্তির মুখে পড়বে জনগণ। এটাকে ইস্যু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অব্স্থান নিতে পারবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাইরে বেরিয়ে আসার যে সুযোগ পেয়েছেন, তা-ও বন্ধ করার ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য ফারুক খান বলেন, ‘বিএনপি দল গোছানো আর নির্বাচনের বাইরে বিকল্প কোনও চিন্তায় গেলেই তাদের তলিয়ে যাওয়া তরান্বিত হবে। সুতরাং তারাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কী করবে বিএনপি?’
banglatribune
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন