ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন নিজে উপস্থিত ছিলেন। তার পাশে দাঁড়িয়েই গুলি করেছেন সমর্থকরা।
অবশ্য গিয়াসউদ্দিনের সমর্থকরা আক্রমণকারী ছিলেন না। বরং তারা আক্রান্ত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের তার প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের দ্বারা।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন পরবর্তী পাঁচ বছরে নানা ঘটনায় বিতর্কিত হয়েছিলেন। পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজের সমর্থকদের সঙ্গে গিয়াসউদ্দিনের সমর্থকদের কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।
এই কোন্দলের জেরে শনিবার বিকাল তিনটার দিকে গফরগাঁওয়ের দত্তের বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়। এরপর উপজেলা প্রশাসন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গফরগাঁও পৌর এলাকা, পাঁচবাগ ও দত্তের বাজার ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করে।
শুক্রবার দুপুরে গিয়াস উদ্দিন তার গ্রামের বাড়ি নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশি আসেন। শনিবার দুপুরে সেখান থেকে গফরগাঁও পৌর এলাকার নিজ বাসায় আসছিলেন তিনি। এ সময় দত্তের বাজারে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এ সময় আহতদের অধিকাংশই গিয়াসউদ্দিনের কর্মী সমর্থক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সংঘর্ষের সময় গিয়াসের সমর্থকদের শর্টগান থেকে গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। এ সময় পাশেই অবস্থান করে আঙ্গুল তুলে দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য। একই সময়ে বর্তমান সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজের পক্ষের লোকজন গিয়াসের গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম রহমান বলেন, ‘সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।’
বর্তমান ও সাবেক এমপির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টাও করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
তবে উপজেলার পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
২০১২ সালের মে মাসে নিজের নির্বাচনী এলাকা গফরগাঁওয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ে নিজের পিস্তল থেকে গুলি ছুঁড়েছিলেন গিয়াসউদ্দিন। এরপর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সচিবালয়ে সে সময়ের প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমীনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইউসুফ আলী এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মাইনুদ্দিন ভূইয়াকে গুলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন