বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ আরো ৭ বছর আগেই উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেত উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এ স্বীকৃতি কোন একক সরকারের নয়। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
মওদুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি এবং লুটপাটের কারণে এ স্বীকৃতি বিলম্বে এসেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে তা আরো আগেই আসতো।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, স্বীকৃতির জন্য সবচেয়ে অবদান রেখেছে কৃষক, শ্রমিক এবং দেশের বাইরের শ্রমিকরা। এতে সরকারে কোন ভূমিকা নেই। অবদান নেই। এ তিনটি খাতে রাজনীতিবিদদের কোন কৃতিত্ব নেই।
এসময় তিনি এটিও বলেন, যেখানে গণতন্ত্র নেইই, সেখানে উন্নয়নশীলতা অর্থহীন। যেখানে বিচার নেই, সংসদ নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, সেখানে উন্নয়নশীলতার সুফল দেশের মানুষ পাবে না।
সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন বিষয়ে জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী বলেন, এ নির্বাচনে জেতার অনেক চেষ্টা করে সরকারি দল। কিন্তু তারা পারে না। এবছরও পারেনি। সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালীরা চেষ্টা করেছেন এ নির্বাচনের হাওয়া বদলাতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এ নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে দেশের মানুষের চিন্তা প্রয়োগ হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। যদি আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন সুষ্ঠু হয় তাহলে বিএনপি- আওয়ামী লীগের ফলাফলের পার্থক্য হবে ৭৫-২৫ শতাংশ। আইনজীবীদের ভোট জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। সরকার যদি ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে তাহলে দিবাস্বপ্ন দেখছে। তা আর হবে না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করছি। যদি সরকার সমঝোতায় না আসে তাহলে রাজপথ ছাড়া বিকল্প থাকবে না।
মওদুদ বলেন, যতদিন খালেদা জিয়ার কারাজীবন বিলম্বিত হবে ততোই তার জনপ্রিয়তা বাড়বে। খালেদা জিয়া ছাড়া কোনো সাধারণ নির্বাচন হবে না। হতে পারে না।
জিয়া নাগরিক ফোরাম-জিনাফ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন