বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মসজিদ কমিটি গঠন করতে ডাকা মতবিনিময় সভায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ছোনকা বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. আব্দুর রাজ্জাক নামে এক যুবলীগ নেতা গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহত রজ্জাক উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের রসুল মাহমুদের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক।
আহত রাজ্জাক বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ছোনকা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয় কমপ্লেক্স ও বাজার মসজিদ কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। তাই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ভবানীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস সরকার মুকুল মসজিদের নতু কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে ছোনকা বাজার এলাকায় এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান সরকার মৃদুল ও তার লোকজন সভায় উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন। এসময় তিনি এসবের প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা মৃদুলের লোকজন তাকে ছুরিকাঘাত করে।
তবে ছাত্রলীগ নেতা মৃদুল অভিযোগ অস্বীকার জানান, তিনি বা তার কোন লোক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। আব্দুর রাজ্জাক সভাস্থলের পাশের একটি জলাশয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, তিনি মসজিদটির পুনঃনির্মাণ ও ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য যুবলীগ নেতা মকুলের নেতৃত্বে চিহিৃত কয়েকজন ব্যক্তি নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজ্জাককে ছুরিকাঘাতের নাটক সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।
এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ফেরদৌস সরকার মুকুল বলেন, মসজিদ কমিটি গঠন করতে ডাকা মতবিনিময় সভা বানচাল করতেই ছাত্রলীগ নেতা মৃদুল বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন ভাড়া করে আনেন। এসব লোকজনই সভায় হট্টগোল করেছে এবং যুবলীগ নেতা রাজ্জাককে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাব্বী বলেন, এ ধরণের ঘটনার খবর শুনেছি। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন