জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই চারটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই চার সিটি নির্বাচনই জিততে চায় আওয়ামী লীগ। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, আসন্ন সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রী বিভাগীয় শহরগুলোতে যাচ্ছেন। সিলেট, বরিশালের পর গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সফর করেন। সফরে তিনি একটি জনসভায় বক্তব্য রেখে নৌকা মার্কায় ভোট চান।

জনসভার আগে রাজশাহীর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সেখানে সাফ জানিয়ে দেন, ‘নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচনে জিততে চাই।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আমরা জিতবো, যদি না আমরা নিজেরা নিজেদের না হারাই। কোন্দল না করি।’ প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন ‘লিটনই (খায়রুজ্জামান লিটন ) হবে মেয়র প্রার্থী। ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাঁকে জেতাতে হবে।’ শেখ হাসিনা পরিষ্কার করে বলেন, ‘গতবার অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই লিটন হেরেছে। কারা কোন্দল করেছে আমি জানি। এবার এরকম করলে ছাড়া হবে না।‘ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।’জানা গেছে খুলনা এবং গাজীপুরেও শিগগিরই জনসভা এবং দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি নির্বাচনে হেরে আওয়ামীলীগের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। সেখান থেকে একক কারিশমায় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখেন। এবার এজন্য এখন থেকেই সতর্ক নজরদারি করছেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলা ইনসাইডার