সরকার জনগণকে ভোটাধিকার থেকে দূরে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রজাতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তিগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে। জনগণের অংশগ্রহণকে অস্বীকার করে ক্ষমতায় আসীন হওয়া বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে রাখার যে কৌশল সরকার গ্রহণ করেছে তা জনগণকে ক্রীতদাসে রূপান্তর করেছে। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করার শামিল। টিভিএনএ’র সাথে একান্ত আলাপে এসব কথা বলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
এ সময় তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত কয়েক বছরে শত শত লোককে হত্যা, রাষ্ট্রকে নৈতিকভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়াসহ দেশকে গভীর সংকটে নিমজ্জিত করা হয়েছে। এবারও যদি একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা হয় তা হবে জাতির জন্য আত্মঘাতি। আব্দুর রব বলেন, এ সরকার আইনের শাসনের কথা বলে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে দেশে আইনের শাসন নেই। ব্যাংক, সরকারি কোষাগার লুট হচ্ছে। কিন্তু কোনো বিচার হচ্ছে না। অপচয় দুর্নীতির কারণে দেশের জনগণের ত্রাহি অবস্থা। সরকার দুর্নীতিবাজদের বিচার করছে না বরং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও নিরাপত্তা দিচ্ছে। অপরদিকে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে তাকে সাজা দিয়েছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।
তিনি বলেন, দেশ এখন গভীর সংকটে আছে। গণতন্ত্রে রাষ্ট্র সবার কিন্তু এখন রাষ্ট্র হচ্ছে সরকারের বা আওয়ামী লীগের। এই অন্যায়ের জবাব জনগণ একদিন অবশ্যই দেবে। নির্বাচন ও গণতন্ত্র সরকারের ত্রিসীমানা থেকে পালিয়ে গেছে। এগুলো উচ্চারণের শক্তি হারিয়েছে সরকার। এবারের অতি ক্ষমতার লোভ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কবর রচনা করবে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে আন্দোলন ও রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আনা এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক কর্মকা- চালাবে জেএসডি। ইতোপূর্বে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। তিনি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তাহলে এখন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণ কেন মেনে নেবে এমন প্রশ্ন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন