পদ্মা তীরের জনপদ, নৌকা তো থাকবেই। কিন্তু কেবল জলে নয়, রাজশাহীতে এখন নৌকার আধিক্য স্থলে। জাম গাছের ডালে, ভবনের ছাদে, সড়কের ধারে, মাঠের পাশে, ভেতরে খুঁটির ওপর নৌকার ছড়াছড়ি উত্তরের অন্যতম প্রধান শহরটিতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী সফরের দিন রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডেকেছে স্থানীয় মাদ্রাসা মাঠে। আর জাতীয় নির্বাচনের বছরে সমাবেশ বলে দলের নির্বাচনী প্রতীকের ব্যবহার বেশি হবে, এটাই স্বাভাবিক। হচ্ছেও তাই।
জনসভার মঞ্চটিকেও সাজানো হয়েছে নৌকার আদলে। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নগরীজুড়ে যেসব তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে, তার ওপরেও শোভা পাচ্ছে নৌকা।
বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে থাকা কয়েকটি বড় বড় গাছে লাল-সবুজ রঙে ককশিট দিয়ে বানানো নৌকা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে- ‘নৌকায় ভোট দিন’। মাঠের ইট-সিমেন্টের স্থায়ী মঞ্চটির সামনেও কাঠ বসিয়ে সেটিকে নৌকার আদল দেওয়া হয়েছে। রঙ করা হয়েছে কালো। মঞ্চের বামপাশে থাকা একটি ভবনের ছাদেও তুলে রাখা হয়েছে বেশকিছু নৌকা। মাঠজুড়েও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আরও কিছু আস্ত নৌকা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে তাকে স্বাগত জানিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। সেসব তোরণের ওপরেও শোভা পাচ্ছে নৌকা। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতা, সংসদ সদস্য, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এসব দৃষ্টিনন্দন তোরণ নির্মাণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে দেয়াল-লিখন আর সড়ক ডিভাইডারের নতুন রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে রাজশাহী। বেলা তিনটায় মাদ্রাসা মাঠে জনসভা শুরু হবে-ঘোষণা ছিল আগেই। তবে সকাল থেকেই জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা মাদ্রাসা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। সবমিলিয়ে জনসভায় প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হওয়ার আশা করছেন দলীয় নেতারা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘এই জনসভা থেকেই রাজশাহী অঞ্চলে নৌকার জোয়ার সৃষ্টি হবে। তাই নৌকা দিয়েই জনসভার পুরো মাঠটি সাজানো হয়েছে। তাছাড়া নৌকা এখন শুধু আওয়ামী লীগের নয়, এটি এখন সমগ্র মানুষের প্রতীক, শান্তির প্রতীক।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে পুরো রাজশাহী মুখরিত।জনসভাকে ঘিরে জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে আওয়ামী লীগ প্রচার চালিয়েছে। যেন এ জনসভার রেশ দীর্ঘদিন থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী সফরসূচির অংশ হিসেবে প্রথমে তিনি নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের ষষ্ঠ কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। এরপর বিকেলে তিনি রাজশাহীতে মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগদান করবেন।
জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন