বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর ক্রোধের আসামি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন-বিএনপির হাল ফেরারি আসামির হাতে। আমি আপনাকে বলতে চাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর ক্রোধের আসামি। একদলীয় দুঃশাসনের সাজানো মামলার আসামি। প্রকৃত আইনের শাসন আর গণতন্ত্র থাকলে আওয়ামী সরকারই সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে কারাগারে থাকতো। কারণ তারা নিজেরাই আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। ১/১১ এর সময় জলিল সাহেব, কাদের সাহেব, শেখ সেলিম সাহেবসহ অন্য নেতারা প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে কী জবানবন্দি দিয়েছিলেন তা জনগণ এখনও ভুলে যায়নি।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার যদি এতো সাহস তাহলে আপনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির ১৫টি মামলা মোকাবিলা না করে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে সেগুলো প্রত্যাহার করে নিলেন কেন ? এসব প্রশ্নও জনগণের।’
বিএনপিতে কি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার মতো কেউ দেশে ছিল না, এতটা দৈন্য দশা তাদের? প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই-আপনার এই বক্তব্যে এটি পরিষ্কার যে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে ঢুকিয়ে বিএনপিকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তারেক রহমান দলের হাল ধরায় আপনার সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে, আর এজন্যই আপনার গায়ে এত জ্বালা। বাংলাদেশে তো বহু যোগ্য ও মেধাবী লোক আছে যারা আন্তর্জাতিকভাবেও আইটি বিষয়ে খ্যাতিসম্পন্ন। তাদেরকে আইটি উপদেষ্টা না বানিয়ে আপনার ছেলেকে বানিয়েছেন, তাহলে এটাকেও আপনি দৈন্য দশা বলছেন না কেন ? প্রশ্নপত্র ফাঁসও কিন্তু আইটি খাতের ব্যর্থতার কারণেই ঘটেছে। তাই প্রশ্নফাঁস ঢাকতেই গতকাল আপনি এত অবান্তর বক্তব্য দিয়েছেন।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আওয়ামী সরকার বিশ্বের দুর্নীতির সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তারা কেবলমাত্র অবৈধ বা ফ্যাসিস্টই নয়। দুর্নীতির হিসাব আর কয়েক কোটিতে নয়, কয়েক হাজার কোটিতে। অর্থমন্ত্রী চার হাজার কোটি টাকাকে তুড়ি মেরে বলেন এটা কোন টাকা হলো ? ফার্মার্স ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হলেও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদের অবৈধ এমপি ম খা আলমগীর বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাচ্চু গংরা বেসিক ব্যাংককে দেউলিয়া বানালেও দুদক তাদের টিকিটিও ছুঁতে পারে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ,শহিদুল ইসলাম বাবুল,সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন