জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
সোমবার রাতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর ধানমণ্ডির বাসায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া এই তথ্য জানিয়েছেন।
জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আজ রাতের বৈঠকে সিনিয়র আইনজীবীরা রায়ের বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ে পর্যালোচনা করে আপিলের গ্রাউন্ড তৈরি করেছেন। বৈঠকে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, দুদক আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খানসহ খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের পেশকার মো. মোকাররম হোসেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার হাতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের সত্যায়িত কপি বুঝিয়ে দেন।
এসময় আদালতের পেশকার মো. মোকাররম হোসেন জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়টি ছিল ৬৩২ পৃষ্ঠার। আজ রায়ের এক হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠা সত্যায়িত কপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সাজা ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। রায় ঘোষণার তিনদিন পর আদালতের নির্দেশে তাকে ডিভিশন বা প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে রায়ের সার্টিফাইড কপি দিতে দেরি করে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে আপীল সুবিধা নিতে দেরি হয়ে যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন