জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার রাতে বৈঠকে বসছেন তার আইনজীবীরা।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর ধানমন্ডির বাসায় এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে সিনিয়র আইনজীবীরা রায়ের বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ে পর্যালোচনা করে আপিলের গ্রাউন্ড তৈরি করবেন। বৈঠকে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, দুদক আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খানসহ খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে রায় ঘোষণার ১২ দিন পর সোমবার বিকালে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি বেগম জিয়ার আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামানের কার্যালয় থেকে এ অনুলিপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এই অনুলিপি নেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে বেগম জিয়ার জামিন এবং ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে।
আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন বলেন, রায় ঘোষণার সময় রায়ে মোট ৬৩২ পৃষ্ঠা ছিল। কার্টিজ পেপার বা দলিলে সত্যায়িত হওয়ার পর রায়ের কপিতে কাগজ সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৬৮ পৃষ্ঠা। তার সাথে আরও যুক্ত হয় ৬ পৃষ্ঠার আদেশ। প্রতি পৃষ্ঠায় বিচারকের মোহর (সীল) এবং স্বাক্ষর রয়েছে।
এদিকে রায় হাতে পাওয়ার পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সাংবাদিকদের জানান যে, আগামীকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আবেদন করবেন তারা। পাশাপাশি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল আবেদন করবেন তারা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় বেগম জিয়ার। পাশাপাশি দুই কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে।
তবে রায় ঘোষণার পর এর সত্যায়িত অনুলিপি দিতে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন তার আইনজীবীরা।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন