গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তার কারনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আজ নিজ গৃহে অন্তরীণ। তাকে প্রায় নিয়মিতই বকিশবাজারের বিশেষ আদালতে যেতে হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি চাইলেও এসব হাজিরার কারনে এখন ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না বলে অনেকে বিশ্বাস করে।
সোমবার রাজধানীর তোপখানা সড়কের শিশু কল্যান পরিষদ মিলনায়তনে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মতো জেলা জজ আদালতের বাইরে কোনো বিশেষ আদালতে হাজিরের এমন নির্দেশনা যদি মাওলানা ভাসানীকে দেয়া হতো তাহলে তিনি তো যেতেনই না বরং বলতেন ‘খামোস, এনাফ ইজ এনাফ।’
তিনি বলেন, বিএনপি জয়ািউর রহমানের প্রতিশ্রুতিই ভুলে গেছে। তাদের যদি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার প্রতিশ্রুতি স্মরণে থাকতো তাহলে আজ তারা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করত। প্রকৃতপক্ষে দুপুর বেলায়ও বিএনপি মনে করছে এখনো রাত শেষ হয়নি।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালি, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মনি, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাড. সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল ভুঁইয়া প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বপ্নদ্রষ্টা যুদ্ধকালীন প্রবাসী মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্বাধীনতার পর ভারতের মাটি থেকে স্বদেশ প্রত্যবর্তন করেছিলেন ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি। স্বাধীনতার পরে দীর্ঘদিন পার হলেও সরকারগুলো তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তার হাতে প্রতিষ্ঠিত দল আওয়ামী লীগ। তার রাজনৈতিক দর্শন ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজনে মাওলানা ভাসানীকে ব্যবহার করেও প্রকৃত অর্থে তাকে আর মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। অবশ্যই মাওলানা ভাসানী রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাওয়ার অধিকারী।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মাওলানা মাওলানা ভাসানী আপোষহীন রাজনীতিবিদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। অত্যাচারী শাসক শ্রেণীর স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও সাহসী করে তুলেছিলেন সাধারণ মানুষকে। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে তাঁতী, জেলে, কৃষক, কুমার ও মেহনতীসহ সকল মানুষের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রাম করেছেন আজীবন তিনি।
মানবকণ্ঠ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন