লেখার শুরুতে দেব-দেবী, সম্রাট-সম্রাজ্ঞী বাদশাহ নামদারদের বন্দনা দিয়ে কাব্য শুরু করার সংস্কৃতি বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্য। প্রত্যেক মঙ্গলকাব্য শুরু হয়েছে কোনো না কোনো দেবীর বন্দনাগীতি দিয়ে। এ লেখাটা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচয়িতাদের বন্দনা দিয়ে শুরু করতে চাই। বহুদিন আগে তারা যা বুঝেছিলেন আমরা তা বুঝিনি। সারা বছর কলেজ-ইউনিভার্সিটির ক্লাস তো দূর ক্যাম্পাসের ছায়া পর্যন্ত না মাড়িয়ে, বইপত্র হাতে না ছুঁয়ে, পড়াশোনার ধারে কাছে না গিয়ে, সারাদিন নায়িকার সঙ্গে নাচগানের পর পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলে যখন দেখা যেত নায়ক ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট তখন গোঁজামিলের ওই কাহিনীকে এবং স্ক্রিপ্ট রাইটারকে কত গালমন্দই না করেছি। সারা বছর না পড়ে বই খাতা না ছুঁয়েও যে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া যায় তার প্রমাণ তো এখন পাচ্ছি হাতে হাতে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই সুবর্ণকাল দেখিয়ে দিয়েছে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট কেন, গোল্ড মেডেল পাইয়ে দেয়াও ব্যাপার নয়। পরীক্ষার আগের রাতে ভার্চুয়াল মিডিয়ার সামনে বসে থাকলে সবই সম্ভব। মির্জা পরিবারের প্রধান মির্জা বা চৌধুরী পরিবারের প্রধান চৌধুরী যখন বংশমর্যাদার গরিমা, ঐতিহ্য আভিজাত্যের মহিমা এবং প্রভাব প্রতিপত্তি ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে আমার এলাকায় আমার কথাই শেষ কথা এবং শুধু কথা নয়, সব ধরনের সন্ত্রাসী কাজের মাধ্যমে যখন তা দেখিয়েও দিতেন আমরা ভাবতাম, এও কি সম্ভব? এ আবার কোন এলাকা, এটা কি বাংলাদেশের বাইরের কোনো অঞ্চল যেখানে বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বা প্রশাসন অনুপস্থিত। চলচ্চিত্রে যখন দেখেছি, দাপুটে ভিলেনের ক্যাডার বাহিনী নিরীহ ফুল-ফলওয়ালাকে মারধর করে ভ্যানের সমস্ত ফুল-ফল ফেলে রাস্তাকে ফুল-ফলের বাগান বানিয়ে ফেলছে, সবজিওয়ালাকে মেরে সবজির ক্ষেত বানিয়ে ফেলছে রাস্তা, নিরীহ জনতা যাকে পাচ্ছে তাকেই পেটাচ্ছে আর পুলিশ ‘কী চমৎকার দেখা গেল ভঙ্গিতে’ দাঁড়িয়ে সেই ভানুমতির খেল দেখছেন, আমরা ভেবেছি অবিশ্বাস্য। এই অ্যাকশন পর্ব শেষ হলে ক্যাডারদের গ্রেফতার না করে হাত কচলাতে কচলাতে পুলিশ যখন গডফাদারের কাছ থেকে নগদ নারায়ণ গ্রহণ করত ভাবতাম কীভাবে সম্ভব? রূপকথার চেয়েও অধিকতর অবিশ্বাস্য সব ঘটনা একের পর এক ঘটতে দেখে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ওপর মন ও বিশ্বাস দুই-ই উঠে গিয়েছিল। আজ বুঝতে পারছি কী দূরদর্শীই না ছিলেন তারা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যা ঘটতে পারে তা বহু আগেই তারা তাদের দিব্যদৃষ্টি মারফৎ বুঝতে পেরেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ। বিবিএস জরিপ মতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী জেলা। দরিদ্রের হার মাত্র দুই শতাংশ। অর্থ অনর্থের মূল এই প্রবাদ কি মিলে গেল নারায়ণগঞ্জের ক্ষেত্রে? নাকি নারায়ণগঞ্জের অনর্থের মূল অন্য কোথাও? আসুন, নারায়ণগঞ্জকে একটু পাঠ করতে চেষ্টা করি। যদিও দুষ্পাঠ্য নারায়ণগঞ্জ। এতই দুষ্পাঠ্য যে তা মাতৃভাষায় লেখা কিনা তাও বুঝতে কষ্ট হয়। এই সেই নারায়ণগঞ্জ যেখানে ত্বকী হত্যাকাণ্ডের মতো সর্বোচ্চ নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এবং সেই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে গত পাঁচ বছর ধরে। কোনো চার্জশিট পাঁচ বছর ঝুলিয়ে রাখার দৃষ্টান্ত, তাও আবার এমন হত্যাকাণ্ড যা সারাদেশের মানুষকে বেদনায় বিদ্ধ করেছিল। এই সেই নারায়ণগঞ্জ যেখানে র্যাবের মতো এলিট বাহিনীর হাতে সাত খুনের ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে যেন অদৃশ্য জিন-ভূতরা এখানেই ফেলে রেখে যায় নিখোঁজ বা গুম হওয়া এলিটদের। এটা সেই নারায়ণগঞ্জ যেখানকার নগরমাতা নিগ্রহের শিকার হয়ে রাজপথে ভূপতিত হলেও একজন মহিলা পুলিশও তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না, পুলিশও আসে না। জেলা পুলিশ প্রধানও নির্লিপ্ত। প্রশাসন নির্বিকার। যেন কিছুই ঘটেনি। এই একই ঘটনা যদি বিরোধী দলের কোনো নেতার দ্বারা সংঘটিত হতো তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াত তা যে কারো পক্ষে অনুমান করা সম্ভব। অবশ্য বিরোধী দল আইভীর ওপর হামলা করবেই বা কেন? সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তো ক্রমাগত বলেই যাচ্ছেন আইভী জামায়াত-বিএনপির অতি প্রিয়ভাজন। আইভী আক্রান্ত হলে জামায়াত-বিএনপি প্রতিবাদ করে সবার আগে। প্রশ্ন হলো- এই মন্তব্যের মাধ্যমে শামীম ওসমান কি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন না? সেলিনা হায়াত আইভীকে কি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই মনোনয়ন দেননি? জামায়াত-বিএনপির প্রিয়ভাজন আস্থাভাজনকে কেন মনোনয়ন দেবেন? কে জামায়াত, কে রাজাকার নারায়ণগঞ্জের তা নির্ধারণের মানদণ্ড একমাত্র শামীম ওসমানের হাতেই। আমরা তো বিএনপির কোনো কোনো নেতাকে শামীম ওসমানের পক্ষে সাফাই গাইতে শুনেছি। তাহলে কি ধরে নেব শামীম ওসমানের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের আঁতাত আছে? বিএনপি নেতাদের সঙ্গে শামীম ওসমানের আঁতাত থাক বা না থাক একটি বিষয়ে শামীম ওসমান ধন্যবাদ পেতেই পারেন। শামীম ওসমান প্রকাশ্যে ডাণ্ডা পেটা করেন। তার কর্তৃত্বপরায়ণ একনায়কতান্ত্রিক আচরণ সবাই প্রকাশ্যেই দেখেন। আওয়ামী লীগের মধ্যে আরো যেসব নেতা শামীম ওসমানের খোলসে ওই একই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু আরো সূক্ষ্ম কৌশলে দলের হাইকমান্ডের কাছে সেইসব নেতার অত্যাচার অবিচার অনাচারের খবর পৌঁছাতেই পারছে না। শামীম ওসমান জাতীয় নেতার দাপট ও দম্ভে আওয়ামী লীগের ত্যাগী-সৎ নেতা যারা জনগণের জন্য কাজ করতে চান তারা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। প্রতিদিন পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি নমিনেশনকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ কোন্দল কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। এর উত্তর অবশ্য নেতাদের মুখস্থ। বড় দলে নাকি এমন হতেই পারে। এমনকি একই দলে থেকেও আইভীর সঙ্গে শামীম ওসমান যা করছেন তাও নাকি হতেই পারে। অথচ আমরা জানি সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয় কমিটির সভায় মেয়রের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন ডিসি এসপিরা। তারা মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেন না। এসব নাকি তারা করেন শামীম ওসমানকে খুশি করার জন্য। এই যদি হয় দলীয় মেয়রের অবস্থা তাহলে বিরোধী দলের যেসব মেয়র সিটি কর্পোরেশন চালাচ্ছেন, তারা কীভাবে কাজ চালাচ্ছেন, কত ধরনের অসহযোগিতার মাধ্যমে অনুমান করা শক্ত নয়।
দুই
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ফুটপাতকে হকারমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। উদ্দেশ্য, নাগরিকদের স্বচ্ছন্দে চলাফেরা নিশ্চিত করা। পুনর্বাসনের আগ পর্যন্ত হকারদের জন্য বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়েছিল সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। তিনিই নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ ইশদাইরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের বর্ধিতাংশ জামতলা ঈদগাহ মাঠ, নগর ভবনের সামনের অংশ এবং প্রেসক্লাবের পেছনে রাজউকের কার পার্কিংয়ের জায়গা। যে চারটি জায়গায় ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। দুইটি জায়গার প্রস্তাব মেনেও নিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন। আমরা দেখতে পাচ্ছি এ পর্যন্ত সবই ঠিক আছে এবং আরো একটি তথ্য মাথায় রাখা জরুরি তাহলো, যে এলাকার হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এতকিছু ওই এলাকার সংসদ সদস্যের নাম সেলিম ওসমান। আবারও স্মরণ করিয়ে দিই সংসদ সদস্যের নাম সেলিম ওসমান। অথচ পুরো ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসলেন শামীম ওসমান। কেন? হয়ত তিনি সবসময় আলোচনায় থাকতে চান, প্রতিপক্ষের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ কোনো কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে হলেও। হকার উচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য এবং সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো সমস্যা ছিল না। ১৫ জানুয়ারি শামীম ওসমান যিনি ওই এলাকার সংসদ সদস্য নন তিনি ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ওই এলাকায় হকারদের ফুটপাতে বসার ঘোষণা দেন। এখানে দু’টি প্রশ্ন এসে যায়। এক. ফুটপাতকে হকারমুক্ত করার দায়িত্ব কার? সিটি কর্পোরেশনের না এমপির? আমরা নিশ্চিতভাবে জানি এ দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। আর যদি এমপিরও হতো তারপরও তো এখানে শামীম ওসমানের কোনো ভূমিকা থাকার কথা নয়। কারণ ওই এলাকার সংসদ সদস্য নন তিনি। এ ঘটনার তিনদিন আগেই ওই এলাকার সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান স্বয়ং হকার পুনর্বাসনের চারটি বিকল্প স্থান নির্দিষ্ট করে চিঠি দিয়েছিলেন সিটি কর্পোরেশনকে। পুনর্বাসনের জায়গা হিসেবে চিঠিতে উল্লেখ ছিল ইশদাইরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের বর্ধিতাংশ, জামতলা ঈদগাহ মাঠ, নগর ভবনের সামনের অংশ এবং প্রেসক্লাবের পেছনে রাজউকের কার পার্কিংয়ের জায়গার নাম যা আগে উল্লেখ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সড়কের নাম কিন্তু সেলিম ওসমানের চিঠিতে ছিল না। তাহলে বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার উচ্ছেদের ঘটনায় আইভীর অপরাধ কী? এর আগে ২০০৭ সালে হকারদের জন্য ৬০০ দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, ঢাকার ফুটপাত থেকেও হকারদের অন্য কোথাও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হলে তারা ওই জায়গা অন্য কারো কাছে ভাড়া দিয়ে আবার ফুটপাতে এসে বসেন। ফুটপাত থেকে গরিব হকারদের উচ্ছেদের বিরোধিতা জনপ্রিয় রাজনৈতিক ইস্যু। ‘গরিব হকার’ শব্দবন্ধটি আসলে সাইনবোর্ড। পেছনে রয়েছে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক। ফুটপাতের হকার উচ্ছেদের বিরোধিতা করে যারা দিনের বেলায় হকারদের বন্ধু বনে যান সন্ধ্যায় তারা যান বখরা আদায় করতে। পুলিশ এবং পাতি নেতাদের কমিশন না দিয়ে কোনো হকারই ফুটপাতে ব্যবসা করতে পারেন না। ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। বামপন্থি দলগুলো ফুটপাতে হকার উচ্ছেদের বিরোধিতা করেন আদর্শগত অনুভূতির জায়গা থেকে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের হকার উচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শামীম ওসমানের ক্যাডার বাহিনীর সহিংসতার ঘটনা কোনো বাম নেতারই সমর্থন পায়নি।
ফুটপাতে হকারসহ সব ধরনের দোকানপাট আইনত নিষিদ্ধ। ফুটপাতে হকাররা বসার কারণে পথচারীরা হাঁটার জন্য ন্যূনতম স্পেস পান না। হকাররা যেমন গরিব, পথচারী যারা হেঁটে চলাফেরা করেন এবং যারা সংখ্যায় ৮০ শতাংশ তারাও কিন্তু গরিব। হকাররা ফুটপাতে বসার কারণে এই গরিবরাই বেশি দুর্ঘটরার শিকার হন। আর এটাও ওপেন সিক্রেট ফুটপাতে হকার বসা নিয়ে যারা রাজনীতি করতে চান তাদের আসল উদ্দেশ্য কী। সংসদ সদস্য শামীম ওসমান অনুরোধ করেন না, নির্দেশ দেন। হকার সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশেও তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে হকার বসবে এটা তার অনুরোধ নয়, নির্দেশ। বলেছেন, তিনি তার বড় ভাইয়ের মতো ভদ্র মানুষ নন। যারা তার বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদের জবাব দিতে তার দুই মিনিটও লাগবে না। শামীম ওসমানের বড় ভাই সেলিম ওসমান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে যে ভদ্রতার পরিচয় দিয়েছেন শামীম ওসমান যদি তার চেয়েও অভদ্র হন তাহলে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য তো ভয়ের বিষয়ই বটে। প্রশ্ন হলো- নারায়ণগঞ্জে কি তাহলে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে? শামীম ওসমানের ‘অনুরোধ নয় নির্দেশ’ অনুসারে সব কাজ চলবে? এ প্রশ্নের উত্তর কার কাছ থেকে পাওয়া যাবে? বড় ভাই সেলিম ওসমানের মতো ভদ্র নন বলে ঘোষণা দেয়া এবং বিরোধিতাকারীদের দুই মিনিটের মধ্যে জবাব দেয়ার যে হুমকি শামীম ওসমান দিয়েছেন তা কার্যত সরকারকেই দেয়া হুমকি। সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান। সিটি কর্পোরেশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দেয়ার অর্থ সরকারি কাজে বিঘœ সৃষ্টি করা। সরকারি কাজে বিঘœ সৃষ্টিকারীদের শাস্তি কত প্রকার ও কী কী চারপাশে তার দৃষ্টান্তের অভাব নেই। সরকারি কাজে বিঘœ সৃষ্টিকারী হোমরাচোমরা নেতাদের সকাল বিকাল কোর্টে হাজিরা দিতে দেখছি। তাহলে বিঘœ সৃষ্টিকারীরা কেবল বিরোধী দলে থাকলেই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়? সরকারি দলে থেকে সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আইন নেই? তবে যে শুনি আইন সবার জন্য সমান। আইনের চোখ অন্ধ এবং সরকার সব ক্ষেত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিন
বছর শেষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পুরস্কারের রেওয়াজ আছে। কাউকে কাউকে আজীবন সম্মাননাও দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ বছরের সেরা উপদ্রব হিসেবে শামীম ওসমানকে আজীবন সম্মাননা দিতে পারে। শামীম ওসমান এবং ওসমান পরিবারের প্রতি আওয়ামী লীগের বিশেষ আবেগ আছে। পুরস্কার পাওয়ার জন্য এটা কম যোগ্যতা নয়!
জয়া ফারহানা
কলাম লেখক
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন