রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে না আসলে বিএনপি নামক দলের অস্তিত্ব থাকবে না।
তারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও করেছে। সংলাপের নামে এখন আবার তারা নানামুখী চক্রান্ত শুরু করেছে। খবর খবর বাসসের।
গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন তা সমর্থন করেন।
গত ৭ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর মঙ্গলবার ৬ষ্ঠ দিনে সরকারি দলের আবদুল মালেক, আবু জাহির, ইলিয়াস ইদ্দিন মোল্লা ও এনামুল হক আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি সত্য ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সরকারের কর্মকান্ডের সঠিক তথ্য তার বক্তব্যের মধ্যে তুলে ধরেছেন। আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করেছে বলে জনগণের প্রাপ্তি ঘটেছে। আগামী দিনে জনগণের প্রাপ্তি সম্পর্কেও তিনি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
তারা বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস করে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার অনেক অপচেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার সন্তান সারা পৃথিবীর মধ্যে দুর্নীতিতে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের একজন সৎ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশ ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশ কলঙ্কিত হয়েছে। আর শেখ হাসিনার সততার কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারা বলেন, জঙ্গি সন্ত্রাসের মতো সকল বাধা বিপত্তি সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দিকে অগ্রসরমান। দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে আবির্ভূত হবে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনা বিধাতার আশির্বাদ এবং মানবতার অবতার, তিনি সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি যে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্বে অনন্য। তাই তিনি মানবতার মা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
সংসদে ব্যাংক কোম্পানী সংশোধন বিল পাস
ব্যাংক কোম্পানিতে একক পরিবারের দু’জনের স্থলে চারজনকে পরিচালক করার বিধান করে মঙ্গলবার সংসদে ব্যাংক কোম্পানী সংশোধন বিল-২০১৮ পাস করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে বিদ্যমান ব্যাংক কোম্পানী আইনের ধারা ৩-এর উপ-ধারা (৩)-এর সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান আইনের ধারা ৭-এর উপ-ধারা (৩)-এর সংশোধন করা হয়েছে।
বিলে একইভাবে বিদ্যমান আইনের ধারা ৮-এর শতাংশের দফা (ক)-তে উল্লেখিত ধারা-২৬ (১)-এর সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান আইনের ধারা ১৫-এর উপ-ধারা ৪-এ উল্লেখিত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শব্দগুলোর পর নির্বাচন বা ক্ষেত্রমতে মনোনয়নের পর শব্দগুলো সন্নিবেশিত করা হয়।
বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১৫-এর উপ-ধারা ১০-এ উল্লেখিত দু’জনের শব্দটির পরিবর্তে চারজনের শব্দটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে বিলে ব্যাংক কোম্পানীর কোন একক পরিবারের দু’জন পরিচালক রাখার বিদ্যমান বিধান সংশোধন করে চারজন করার বিধান করা হলো।
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী, ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, নূরুল ইসলাম মিলন, বেগম রওশন আরা মান্নান ও বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব আনলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এদিকে আজ সংসদে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সংসদে ইতোপূর্বে উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন বিল, ২০১৬’ প্রত্যাহার করে নেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন