হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো নারায়ণগঞ্জ। সর্বত্রই বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। সংঘর্ষের ঘটনার পরপরই বন্ধ করে দেওয়া শহরের আশেপাশের শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহর জুড়ে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। রাত যত বাড়ছে, উৎকণ্ঠাও ততই বাড়ছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানে সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ৫০ জন। এদের একজন স্বয়ং মেয়র আইভী।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী হকারদের উচ্ছেদে রাস্তায় মঙ্গলবার বিকালে নামনে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগর ভবন থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শহরের চাষাড়া যান তিনি।
শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের জাকির সুপার মার্কেটের সামনের এসে হাজির হলে আইভীর সঙ্গে থাকা কয়েকজন লোক হকারদের সরানোর চেষ্টা করলে প্রথমে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তা এক সময় সংঘর্ষে পরিণত হয়।
এদিকে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে চাষাড়া বন্ধুবন্ধু রোডের সায়েম প্লাজা মার্কেটের সামনে ফাঁকা গুলি করে একজন পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন মানুষ। এ সময় তাকে গণধোলাই দেয়া হয় এবং তিনি অস্ত্রটি সরিয়ে ফেলেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন বলেন, মেয়র সমর্থকদের সঙ্গে হকারদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। তবে কয়জন আহত হয়েছে জানা নেই। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন