জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন- কোনো সাক্ষী এমন সাক্ষ্য দেননি বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আইন লংঘন করে দুদক মামলা দায়ের করেছে। দুদকের নীতিমালা মেনে এই মামলা দায়ের করা হয়নি। এটা একটা অস্তিত্বহীন মামলা। তার পরও তারা এটা দাঁড় করিয়েছেন শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য।
তিনি বলেন, যে আইনে এই মামলা আনা হয়েছে সে আইনে এই মামলা পড়ে না। সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূতভাবে এটা করা হয়েছে সেটা আমরা বলেছি। দেশে যদি সত্যিকার অর্থে আইন এবং বিচার থাকতো এবং আদালত নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারতেন, তাহলে এই মামলা প্রথমেই খারিজ করে দিতেন। রাজনৈতিক প্রভাবে তা তারা করতে পারেননি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী বলেন, বেগম জিয়া যে অভিযুক্ত সেটা কোনোভাবেই তারা (দুদক) প্রমাণ করতে পারেনি। আইনের চোখে এই মামলা টেকে না। কোনো সাক্ষী বলেননি যে, তিনি (খালেদা জিয়া) এতে জড়িত।’
‘কোনো কাগজে তার কোনো সই নাই, ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করেননি, অপারেট করেননি। এজন্য তিনি (খালেদা জিয়া) খালাস পাবেন’ যোগ করেন তিনি।
এর আগে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শেষ করে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন