নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনরায় মাথা পেতে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জনগণ বিএনপিকে এবারও প্রত্যাখ্যান করবে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনায় তিনি বলেন, উনার (ওবায়দুল কাদের) সকল কথায় আমি উত্তর দিতে চাই না। তবে একটি কথা খুব স্পষ্ট যদি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, যদি ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায় এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয় তাহলে জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করবে তারা কাকে চায়। তখন জনগণ যে রায় দেবে আমরা সেই রায় মাথা পেতে নেবো।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলাস্থ দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক ও বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনপ্রবর্তক জিয়াউর রহমানকে। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি অসংখ্য অগণিত মুক্তিযোদ্ধাদের, যারা যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন এবং আমাদের এনে দিয়েছেন এই স্বাধীনতা। শ্রদ্ধা নিবেদন করছি সকল মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা এই দেশের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম আমাদের মুক্তি, গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার পেতে। কিন্তু আজকে ৪৭ বছর পরও দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমরা সেই লক্ষ্যে অর্জনে পৌঁছাতে পারিনি, লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র পুরোপুরি নির্বাসিত। মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষ এখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না। এবং তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও চলে গেছে। কারণ দুর্ভাগ্য জনকভাবে সরকার আমাদের শাসন করছে বেআইনি ও অনেতিকভাবে। তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে প্রায় সকল ব্যবস্থা পাকাপোক্তও করেছে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাথে নিয়ে জাতীয় স্মৃতি সৌধে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পন করেছি। অর্পন করেছি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতেও। এখানে শপথ নিয়েছি আমরা গণতন্ত্রের জন্য যে লড়াই করছি তা অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত রাখবো। তবে শ্রদ্ধা জানানোর পথে পুরোপুরি প্রতিবন্ধকতা ছিল। বার বার খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর আটকে দেয়া হয়েছে যাতে করে আমরা সময় মতো শ্রদ্ধা জানাতে আসতে যেতে না পারি।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একটি গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে যতটুকু লড়াই সংগ্রাম সম্ভব আমরা তারচেয়েও বেশি করছি। আমরা বার বার গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। খালেদা জিয়া আপসহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে ১/১১ অবৈধ ও বেআইনি সরকার ক্ষমতায় আসে। তারপরও খালেদা জিয়ার দৃঢ়তায় কিছুটা হলেও গণতন্ত্র ফিরে পেয়েচিলাম। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই ২০০৮ সাল থেকে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী গুম খুন ও হত্যার শিকার হয়েছেন। প্রায় সাত লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৭৪ হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। তারপর আমরা লক্ষ্যে অর্জিত না হওয়া পযন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন