সাতক্ষীরায় জামায়াত এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তার এডভোকেট আজিজুল ইসলাম। তিনি সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের জজ কোর্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জামায়াত নেতা আজিজুল ইসলামের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে থানায়।
সাতক্ষীরায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সরকারিভাবে পালিত হচ্ছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর কর্মী সমর্থকরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপনের উপর চড়াও হন।
এক পর্যায়ে লাল্টুর সমর্থকরা স্বপনের সমর্থকদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আহত করেন। পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১২ জন আহত হন। পরে ফিরোজ আহমেদ স্বপনকে তার কার্যালয়ে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন, লাল্টু গ্রুপের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করেছে।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা ফিরোজ আহমেদ স্বপনের কারসাজি। তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তা বলেন, এখন পরিস্থিতি পুলিশে নিয়ন্ত্রেণ আছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এবার সাতক্ষীরায় মা-মেয়েকে বর্বর নির্যাতন
এবার সাতক্ষীরা সদরের সুলতানপুর এলাকায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ও তার মাকে বেধড়ক পিটিয়েছে স্থানীয় বখাটেরা।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটেরা এ ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে। ওই স্কুলছাত্রী ও তার মাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিম স্কুলছাত্রী শহরের পুরাতন সাতক্ষীরার একরিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
ভিকটিমের বাবা তাজউদ্দীন সরদার জানান, মেয়ে স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই পার্শ্ববর্তী বিল্লাল, রাজু, কওসার, সোহাগ ও ঈসমাইল আমার মেয়েকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। বিভিন্ন সময় তারা আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আজ কথাকাটির একপর্যায়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। মেয়ের মারপিট ঠেকাতে গেলে স্ত্রী রহিমা বেগমকেও মারপিট করা হয়েছে।
তবে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মেদ এবিষয়ে কিছুই জানেন না বলে এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি আমাদেরকে এখনো কেউ জানায়নি। জানালে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন